মহানায়ক, মহাবীর বঙ্গবন্ধুর নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা যাবে না : ওবায়দুল কাদের

838

ঢাকা, ৯ নভেম্বর ২০২০ (বাসস) : সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলার ইতিহাসের মহানায়ক, মহাবীর বঙ্গবন্ধুর নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা যাবেনা।
তিনি বলেন, যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, চন্দ্র -সূর্য্য উদিত হবে, পাখিরা গান গাইবে, সমুদ্রের গর্জন থাকবে, তত দিন বীর প্রসবিনী এ বাংলার বীর সন্তান বঙ্গবন্ধুর নাম কেউ মুছতে পারবে না।
ওবায়দুল কাদের আজ সংসদে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী – মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে সংসদের বিশেষ অধিবেশনে কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ বিধিতে আনীত বঙ্গবন্ধুর ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন।
এর আগে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে এ প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন।
সাধারণ আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন, স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সরকারি দলের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ ফারুক খান, এডভোকেট কামরুল ইসলাম, সিমিন হোসেন রিমি ও গণফোরামের সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলার স্বাধীনতার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু বাঙ্গালি আর বাংলাদেশের পূর্ব পুরুষদের হাজার বছরের পরাজয়, অপমান অত্যাচারের প্রতিশোধ নিয়েছিলেন। আন্দোলন সংগ্রামের নানা চড়াই উতরাই শেষে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ স্বাধীনতার আহবানের মাধ্যমে নিরস্র বাঙ্গালি জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে সামিল করেছেন্। তাঁর নেতৃত্বে দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে ৭১’র ১৬ ডিসেম্বর বাঙ্গালি জাতির চির কাঙ্খিত স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ইতিহাসের এ মহাবীর,বাংলার রাখাল রাজা, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধুকে ৭৫’র ১৫ আগস্ট ঘৃন্য নব্য মীর জাফর, রায়দূর্লভ, ইয়ার লতিফ, খুনী মোশতাক, জিয়াউর রহমানরা সপরিবারে নৃশংসভাবে খুন করার মাধ্যমে স¦াধীন বাংলাদেশে বিভেদ আর বিদ্বেষের রাজনীতির শুরু করেছে। সে দিন তারা ইনডেমনিটির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সপরিবারে হত্যার বিচারের দ্বার বন্ধ করে দিয়েছিল। শুধু তাই নয়, খুনীদের রক্ষা করে পুর্নবাসনও করেছে।
তিনি বলেন, আজ বিএনপি অনেক কথা বলে কিন্তু সে দিনের সে বিভেদ- বিদ্বেষ মুছে ফেলার জন্য ন্যূনতম সৌজন্যও তারা দেখাননি। অথচ প্রধানমন্ত্রী ২০১৪ সালে সংলাপের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। একটা সুন্দর রাজনৈতিক সম্পর্ক গড়তে চেয়েছিলেন। কিন্তু তারা তা করতে দেয়নি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম, প্রতিকূলতা এবং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আজকের অবস্থানে এসেছেন। তিনি ক্ষমতায় বলেই বঙ্গবন্ধুর খুনী আর ৭১’র মানবতা বিরোধী অপরাধীদের বিচার ও তা কার্যকর করার মধ্য দিয়ে জাতিকে কলংক মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি দেশকে ধাপে ধাপে উন্নত- সমৃদ্ধ দেশের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে। অচিরেই মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের গত ৪৫ বছরের ইতিহাসে শেখ হাসিনার মতো সাহসী, সৎ , দক্ষ রাজনীতিবিদ, প্রশাসক, নেতা আর আসেনি। তাঁর নেতৃত্বেই ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সমৃদ্ধ সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হবে। এ জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে।