রাজধানীতে নিয়ম বহির্ভূত ও অপরিকল্পিত ভবন আর নয় : এলজিআরডি মন্ত্রী

356

ঢাকা, ৮ নভেম্বর, ২০২০ (বাসস) : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, রাজধানীতে আর কাউকে নিয়ম বহির্ভূত ও অপরিকল্পিতভাবে ভবন নির্মাণ করতে দেয়া হবে না।
তিনি আজ সচিবালয়ের গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান-ড্যাপ’ রিভিউয়ের লক্ষ্যে গঠিত মন্ত্রিসভা কমিটির প্রথম ও ড্যাপের ১৫তম সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।
ড্যাপের আহবায়ক তাজুল ইসলাম বলেন, রাজধানী ঢাকাকে বাসযোগ্য, নাগরিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত, পরিকল্পিত অবকাঠামো নির্মাণ এবং ভূ-তাত্ত্বিক ও পরিবেশের বিষয় বিবেচনা করেই এখন থেকে নতুন ভবন নির্মাণ করতে হবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশনসহ যে সকল প্রতিষ্ঠানের অর্ন্তভূক্তির প্রয়োজন সে সকল প্রতিষ্ঠানকে নিয়েই উপ-কমিটি গঠন করা হবে।
এর আগে ড্যাপের সভায় তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকা মহানগরীকে বাসযোগ্য, মানবিক ও টেকসই নগরীতে পরিনত করতে একটি কর্ম-পরিকল্পনা তৈরি করা হবে।
কর্ম-পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা কঠিন চ্যালেঞ্জ হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নব গঠিত কমিটির সকল সদস্য ও সংশ্লিষ্টদের নিরপেক্ষতা, সাহসিকতা, সততা থাকলে ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করলে একটি আধুনিক নগরী উপহার দেয়া সম্ভব হবে।
মন্ত্রী বলেন, সঠিক কর্ম-পরিকল্পনা অনুযায়ী আবাসিক, বাণিজ্যিক, হাসপাতাল, স্কুল-কলেজ, খেলাধুলার মাঠ, ইউটিলিটি সার্ভিস, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও শপিংমলসহ অন্যান্য বিষয়গুলো মাথায় রেখে কমিটি একটি বাসযোগ্য ও দৃষ্টিনন্দন নগরী গড়ে তুলতে কাজ করবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বাস, আস্থা ও লক্ষ্য নিয়ে এই কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশপ্রেম, মেধা-শ্রম ও মূল্যবান মতামত দিয়ে কাজ করি তাহলে সেই লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হবে।
রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য বড় শহরগুলো পরিকল্পনা মতো নগরায়ন করা হয়নি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পর বাসযোগ্য নগরায়নের যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন তাকে নিমর্মভাবে শহীদ করার পর সে উদ্যোগ ব্যাহত হয়। এরপর যারা ক্ষমতায় এসেছেন তারা মানুষের কথা চিন্তা না করে নিজেদের স্বার্থে অপরিকল্পিতভাবে নগরায়ন করেছেন।
সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এমপি, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এমপি, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এমপি, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, সচিব ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।