বাসস দেশ-২৬ : চিরুনি অভিযানের ষষ্ঠ দিনে ৯৯ স্থাপনায় লার্ভা পাওয়ায় ২ লাখ ৮৬ হাজার টাকা জরিমানা

178

বাসস দেশ-২৬
ডিএসসিসি-চিরুনি-অভিযান
চিরুনি অভিযানের ষষ্ঠ দিনে ৯৯ স্থাপনায় লার্ভা পাওয়ায় ২ লাখ ৮৬ হাজার টাকা জরিমানা
ঢাকা, ৮ নভেম্বর, ২০২০ (বাসস) : ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় আজ অভিযান চালিয়ে ৯৯টি স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ২০টি মামলায় ২ লাখ ৮৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেঙ্গু ও মশাবাহিত অন্যান্য রোগ থেকে সুরক্ষা দিতে শুরু হওয়া বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযানের (চিরুনি অভিযান) ষষ্ঠ দিনে আজ ভ্রাম্যমান আদালত এ জরিমানা আদায় করে।
ডিএনসিসি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘আজ ১৩ হাজার ৭৬২টি বাড়ি, স্থাপনা পরিদর্শন করে ৯৯টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৮ হাজার ৪৬১টি বাড়ি ও স্থাপনায় ময়লা-আবর্জনা ও জমে থাকা পানি পাওয়ায় সেখানে ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করা হয় এবং জমে থাকা পানিতে মশার কীটনাশক প্রয়োগ করে জমে থাকা পানি ফেলে দেয়া হয়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় এবং অন্যান্য অপরাধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আজ ২০টি মামলায় ২ লক্ষ ৮৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। ডিএনসিসির সকল ওয়ার্ডে (৫৪টি) একযোগে এই চিরুনি অভিযান পরিচালিত হয়।’
উত্তরা অঞ্চলে (অঞ্চল-১) মোট ১ হাজার ১৫৭টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১৬টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এ ছাড়াা ১ হাজার ৭টি বাড়ি, স্থাপনায় জমে থাকা পানি পাওয়া যায়। এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় এ সময় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়নের নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৭টি মামলায় মোট ৩৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। মিরপুর-২ অঞ্চলে (অঞ্চল-২) মোট ২ হাজার ৭২৩টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৮টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৩৫০টি বাড়ি, স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম শফিউল আজম এর নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১টি মামলায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
মহাখালী অঞ্চলে (অঞ্চল-৩) মোট ১ হাজার ৭১২টি বাড়ি, স্থাপনা ইত্যাদি পরিদর্শন করে ৩৬টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ১ হাজার ৫২টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় এ সময়ে আঞ্চলিক নিবার্হী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল বাকীর নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৪টি মামলায় মোট ৬৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। মিরপুর-১০ অঞ্চলে (অঞ্চল-৪) মোট ১ হাজার ৮১৮টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৬টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ১ হাজার ১০৭টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
কারওয়ান বাজার অঞ্চলে (অঞ্চল-৫) মোট ২ হাজার ১৬৯টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১৪টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ১ হাজার ৬৯৩টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় এবং মোহাম্মদপুরে অবৈধ ভাবে সড়ক দখল করে নির্মাণ সামগ্রী রাখায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পারসিয়া সুলতানা প্রিয়াংকার নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৬টি মামলায় ১ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। হরিরামপুর অঞ্চলে (অঞ্চল-৬) মোট ১ হাজার ৩২৩টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৮টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ১ হাজার ১৭৬টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল হামিদ মিয়ার নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ২টি মামলায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
দক্ষিণখান অঞ্চলে (অঞ্চল-৭) মোট ৮০৪টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৪টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এ ছাড়া ৬৮৪টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। উত্তরখান অঞ্চলে (অঞ্চল-৮) এর অধীনে মোট ৭৯৮টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে কোথাও এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়নি। তবে ৫২৭টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। ভাটারা অঞ্চলে (অঞ্চল-৯) মোট ৫১১টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৭টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ২৮০টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। সাতারকুল অঞ্চলে (অঞ্চল-১০) মোট ৭৪৭টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে কোথাও এডিসের লার্ভা পাওয়া যায়নি। এছাড়া ৫৮৫টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এ সকল স্থানে মশার কীটনাশক প্রয়োগ করে জমে থাকা পানি ফেলে দেয়া হয়।
বাসস/সবি/এমএসএইচ/১৯৪৮/-এবিএইচ