আঞ্চলিক ফোরামে সদস্য পদলাভে বাংলাদেশকে সমর্থন প্রদানে থাইল্যান্ডের আশ্বাস

882

ঢাকা, ৬ জুলাই, ২০১৭ (বাসস) : থাইল্যান্ড মেকং-গংগেজ কো-অপারেশন ফোরাম এবং ইষ্ট ওয়েস্ট ইকোনমিক ফোরামসহ আঞ্চলিক ফোরামগুলোতে সদস্যপদ লাভের প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশকে সমর্থন প্রদানের আশ্বাস দিয়েছে।
ঢাকায় সফররত থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডন প্রামুদিনাই আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে এক বৈঠকে এ আশ্বাস দেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ খবর জানিয়ে বলেন, থাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠকে আসিয়ানের সেক্ট্রোরাল পার্টনার হতে বাংলাদেশকে সমর্থন দেয়ারও আশ্বাস দেন।
থাই পররাষ্ট্র মন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং থাইল্যান্ডে আসিয়ান প্রযুক্তি ইনিস্টিটিউটে বঙ্গবন্ধু চেয়ার কমিশনিং করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
প্রেস সচিব বলেন, দু’দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রিগণ যৌথভাবে এই চেয়ারের উদ্বোধন করবেন।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের প্রয়াত রাজা ভূমিবল আদুলযাদেজের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং সদ্য দায়িত্ব প্রাপ্ত নতুন রাজা মোহা ভাজিরাকে অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন সেক্টরে থাইল্যান্ড ১.৫ বিলিয়ন মাকির্ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। দু’দেশের মধ্যে বর্তমানে বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডন বাংলাদেশের ব্লাক গোট নিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে থাইল্যান্ডে ছাগল প্রকল্প গ্রহণ করার সুযোগ করে দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। থাইল্যান্ডের রাজকুমারী শিরিন ধরনের উদ্যোগে সে দেশে পরীক্ষামূলকভাবে এ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সালে থাইল্যান্ডের রাজকুমারির বাংলাদেশ সফরের উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশে তাকে আবারো অর্ভ্যথনা জানাতে পারলে তিনি আনন্দিত হবেন। আগামী বছরে থাই রাজকুমারির বাংলাদেশে সফরে আসার কথা রয়েছে।
শেখ হাসিনা জিটুজি ভিত্তিতে বাংলাদেশের কাছে দুই লাখ মেট্রিক টন চাল বিক্রি করায় থাই সরকারকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশে কোন খাদ্য সংকট না হলেও দেশে বন্যার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার প্রেক্ষিতে সরকার চাল আমদানি করতে চায়।
প্রধানমন্ত্রী দু’দেশের মধ্যে দ্বি-পক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে বাংলাদেশে বিশেষ অর্থনৈতিক জোনে বিশেষ করে কৃষি প্রক্রিয়া জোন ও পর্যটন সেক্টরে বিনিয়োগ করার জন্য থাই বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহবান জানান।
বৈঠকে থাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী দু’দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ে সফর বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করে কোন এক সুবিধাজনক সময়ে থাইল্যান্ড সফরে যেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আমন্ত্রন জানান।
বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব সুরাইয়া বেগম, থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাদিয়া মুনা তাসনীম এবং ঢাকায় নিযুক্ত থাই রাষ্ট্রদূত পানপিমোন সুওয়ানাপঙ্গস উপস্থিত ছিলেন।