চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ২১ হাজার ছাড়ালো

282

চট্টগ্রাম, ২৯ অক্টোবর, ২০২০ (বাসস) : চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে সংক্রমণের সংখ্যা ২১ হাজার ছাড়ালো। নতুন ৯৮ জনের সংক্রমণ শনাক্তের পর মোট সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২১ হাজার ১ জনে। এদিন একজনের মৃত্যু হয়েছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, নগরীর ছয়টি ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে গতকাল বুধবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৪৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নগরীর ৮৪ জন এবং সাত উপজেলার ১৪ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। সংক্রমণ হার ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
করোনাক্রান্তদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে মৃতের সংখ্যা এখন ৩০২ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২০৯ জন এবং গ্রামের ৯৩ জন। এটি ছিল ১৪ দিন পর করোনায় চট্টগ্রামে কোনো রোগীর মৃত্যু। উপজেলায় সবচেয়ে বেশি (৫ জন) আক্রান্ত বাঁশখালীতে। এছাড়া, হাটাহাজারী, পটিয়া ও সাতাকানিয়ায় ২ জন করে এবং ফটিকছড়ি, সীতাকু- ও চন্দনাইশে একজন করে রয়েছেন।
সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি আজ বাসস’কে বলেন, ‘সংক্রমণের সংখ্যা ও হার দু’টোই আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। মঙ্গলবার ৬৫৪টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন ৪৩ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ে। হার ছিল ৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ১৪ দিন পর গতকাল করোনাক্রান্ত এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এদিন সুস্থ হয়েছেন ৬ জন। ফলে আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৬৪৭৩ জনে। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১০৪৪ জন।’
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গতকাল সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে। এখানে ৪৪৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৮ জন করোনার জীবাণুবাহক শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৩৫৫ টি নমুনার মধ্যে ৩৫ টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ৮৭ জনের নমুনায় ১৪ জন পজিটিভ হিসেবে চিহ্নিত হন। নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) দেয়া একমাত্র নমুনাটির বাহক করোনাক্রান্ত থাকার প্রমাণ মেলে।
নগরীর বেসরকারি তিন ল্যাবের মধ্যে ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৭৯ ও শেভরনে ৪৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে যথাক্রমে ১৪ ও ১১ জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। চট্টগ্রামের ৪১টি নমুনা পরীক্ষার জন্য কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। এতে ৬ জনকে করোনাক্রান্ত বলে শনাক্ত করা হয়।
তবে এদিন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) এবং চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।