বাসস দেশ-৩০ : এবি ব্যাংকের সাবেক ৩ কর্মকর্তাসহ ৪ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড

185

বাসস দেশ-৩০
ব্যাংক কর্মকর্তা-কারাদন্ড
এবি ব্যাংকের সাবেক ৩ কর্মকর্তাসহ ৪ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড
ঢাকা, ২৮ অক্টোবর, ২০২০ (বাসস) : প্রায় চার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় এবি ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ চারজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।
বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, মেসার্স ওয়ান থ্রেড এন্ড একসেসরিজ ও বুশরা এসোসিয়েটস’র মালিক খন্দকার মেহমুদ আলম (নাদিম), মতিঝিল এবি ব্যাংক লিমিটেডের কর্পোরেট শাখার সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শাখা ব্যবস্থাপক আবু সালেহ মো. আব্দুল মাজেদ, মহাখালী এবি ব্যাংক লিমিটেডের কর্পোরেট শাখার সাবেক সিনিয়র এসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপক এ এল এম বদিউজ্জামান এবং একই শাখার সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার ফারুক আহাম্মেদ ভূঁইয়া।
রায়ে খন্দকার মেহমুদ আলমকে দুদক আইনের ৪০৯ ধারায় ৮ বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। তাকে ২ কোটি টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।
এছাড়া মামলার ৪৬৮ ধারায় তাকে চার বছরের কারাদন্ড, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। ৪৭১ ধারায় তাকে আরও এক বছরের কারাদন্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন ধারার সাজা একসাথে চলবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।
আবু সালেহ মো. আব্দুল মাজেদকে ৫(২) ধারায় সাত বছরের কারাদন্ড, ১ কোটি টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদন্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।
এ এল এম বদিউজ্জামান এবং ফারুক আহাম্মেদ ভূঁইয়াকে ৫(২) ধারায় পাঁচ বছরের কারাদন্ড, ৪০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদন্ডের আদেশ দেয়া হয়।
আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাসহ সাজা পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৭৮ লাখ ৮৮ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মতিঝিল থানায় মামলাটি করেন দুদক পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী। তিনি মামলা তদন্ত করে ২০১৬ সালের ২১ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি মামলার চার্জ গঠন করে আদালত। মামলার ১৩ জনের মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ এ রায় ঘোষনা করা হয়।
বাসস/সংবাদদাতা/এফএইচ/২০৫৭/এএএ