বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ (১ম কিস্তি) : জাতিকে বিভ্রান্ত করতে পারে এমন সংবাদ পরিবেশন করবেন না : সাংবাদিকদের প্রধানমন্ত্রী

145

বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ (১ম কিস্তি)
শেখ হাসিনা-ডিআরইউ-ভাষণ
জাতিকে বিভ্রান্ত করতে পারে এমন সংবাদ পরিবেশন করবেন না : সাংবাদিকদের প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা, ২৫ অক্টোবর, ২০২০ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নীতিহীন সাংবাদিকতা কোন দেশের জন্যই কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না উল্লেখ করে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, জাতিকে বিভ্রান্ত করতে পারে এমন কোন সংবাদ পরিবেশন করবেন না।
তিনি বলেন, ‘এমন রিপোর্ট করবেন না যেটা মানুষের মধ্যে বা সমাজে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয় বা মানুষ বিপথে যায়। সেদিকেও আপনাদের বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে আমি অনুরোধ জানাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী আজ তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটি’র (ডিআরইউ) রজত জয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে দেয়া প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিক সমাজের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনাদের বলবো আপনারা দায়িত্বশীলতার সঙ্গে, দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে, মানুষের কল্যাণের কথা চিন্তা করে কাজ করবেন। কারণ, এই রিপোর্টগুলো অনেক সহযোগিতা করে।’
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন পত্রিকায় অনেক সময় অনেক ঘটনা আসে সেসব রিপোর্ট পড়ে সাথে সাথে আমরা অনেক অসহায় মানুষের পাশে যেমন দাঁড়াই, আবার অন্যায় ঘটনা ঘটলে তার প্রতিকারও করতে পারি। অনেক দোষীকে শাস্তি দিতে পারি এবং দিয়ে থাকি। তিনি বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘অনেক সময় আপনারা অনেক ঝুঁকি নিয়ে রিপোর্ট করেন সেজন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
নীতিহীন সাংবাদিকতা পরিহারের জন্য জাতির পিতার এক ভাষণের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সাংবাদিকতায় আমরা নিরপেক্ষতা চাই, বাস্তবমুখিতা চাই এবং দেশ ও জাতির প্রতি কর্তব্যবোধ থেকে যেন এটা হয় সে রকমই আমরা চাই। নীতিহীন সাংবাদিকতা কোন দেশের কল্যাণ আনতে পারেনা। বরং ক্ষতি করে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সংবাদপত্র হচ্ছে সমাজের দর্পণ। সেই দর্পণ যেটা হবে, সেটা চিন্তা চেতনায় এবং দেশপ্রেমে যেন উদ্বুদ্ধ হয়। তাদের ভেতর মানবতাবোধ যেন থাকে। তাঁরা যেন মানুষের কল্যাণে কাজ করে।’
তিনি অতীতের উদাহারণ টেনে বলেন, ‘আমাদের দেশে একটা সময় ছিল- যতই দুর্নীতি হোক, যতই অন্যায় হোক সেগুলোকে ধামাচাপা দেওয়া হোত। আর সমস্যাগুলো-ঐ যে কথায় বলে যে-কার্পেটের তলে লুকিয়ে রাখা। আমাদের সরকারে সময়ে কিন্তু আমরা তা করছি না।’
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সংস্থাটির রজত জয়ন্তীর মূল অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেখানে সংগঠনটি বর্তমান এবং অতীতের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক সহ সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। প্রেস সচিব ইহসানুল করিম হেলাল গণভবন থেকে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যেখানে যা রিপোর্ট হচ্ছে বা আমরা খবর পাচ্ছি, কোথাও কোন দুর্নীতি বা অন্যায় হলে, আমরা কিন্তু এটা চিন্তা করি না- এর পেছনে আমাদের দল জড়িত, এখানে সরকারের বদনাম কিংবা দলের বদনাম হবে। আমরা চিন্তা করি, এখানে অন্যায় হয়েছে তার বিরুদ্ধে আমাদের ব্যবস্থা নিতে হবে।’
‘তবে, এটা নিতে গেলে হয় এমন-অনেক সময় দোষটা আমাদের ওপর এসে পড়ে। অনেকে বলে আওয়ামী লীগ সরকারই বুঝি দুর্নীতি করছে, ঘটনা তা নয়। কারণ, দুর্নীতির বীজ বপণ করে গেছে ’৭৫ এর পর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী সরকারগুলো’, বলেন তিনি।
সরকার প্রধান বলেন, ‘প্রথমে জিয়াউর রহমান, এরপর এরশাদ এরপর খালেদা জিয়া। তারা দুর্নীতিকে কেবল প্রশ্রয়ই দেয়নি বরং নিজেরাও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিল এবং দুর্নীতিকে লালন-পালনই করে গেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর আমরা কিন্তু সেটা করছি না।’
চলবে-বাসস/এএসজি-এফএন/এএইচজে/১৫২৩/-আরজি