বাসস দেশ-৪৯ : সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া হত্যা ও সুরঞ্জিত সেনের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা মামলার চার্জ গঠন

302

বাসস দেশ-৪৯
সিলেট-চার্জগঠন
সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া হত্যা ও সুরঞ্জিত সেনের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা মামলার চার্জ গঠন
সিলেট,২২ অক্টোবর, ২০২০( বাসস) : সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এম এস কিবরিয়া হত্যার ঘটনায় দায়ের করা বিস্ফোরক মামলা এবং সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সমাবেশে বোমা হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক পৃথক মামলায় চার্জ গঠন করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের বিচারক শাহরিয়ার কবিরের আদালতে কিবরিয়া হত্যার বিস্ফোরক মামলায় মোট ২৮ জন ও সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের সমাবেশে হত্যা ও বিস্ফোরক অপর দুই মামলায় মোট ১০ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। আসামিদের উপস্থিতিতে আলোচিত এসব মামলার চার্জ গঠন করা হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ কয়েকজন আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় অন্যান্য আসামিদের পাশাপাশি সিসিক মেয়র বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরী ও হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জিকে গৌছ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেটের বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট সরওয়ার আহমদ চৌধুরী আবদাল।
মামলাগুলোর আসামি জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নান, দেলোওয়ার হোসেন বিপন ও শরিফ শাহেদুল আলমের অন্য মামলায় ইতোমধ্যে ফাঁসি কার্যকর করায় এই তিনজনকে বাদ দিয়ে কিবরিয়া হত্যা বিস্ফোরক মামলায় মোট ২৮ জন ও সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের সমাবেশে হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত দুটি মামলায় ১০ জন আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। আলোচিত এসব মামলার পরবর্তী শুনানীর দিন আগামী ১৮ নভেম্বর ধার্য করা হয়।
তিনি জানান, শাহ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলায় ১৭১ জন জনের মধ্যে মোট ৪৩ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহন করা হয়েছে। এ মামলায়ও অন্যতম আসামি হলেন, মেয়র আরিফ, হবিগঞ্জের সাবেক মেয়র গৌছ ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা হারিছ চৌধুরী। চৌধুরী বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।
২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভা শেষে ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া ও তার ভাতিজা শাহ মঞ্জুর হুদাসহ ৫ জন। এ ঘটনায় আহত হন ৭০ জন।
এ ঘটনায় ওই এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট মো. আব্দুল মজিদ খান বাদি হয়ে সদর থানায় হত্যা এবং বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলা করেন। হত্যা মামলায় ১০ জনকে আসামি করা হয়। পরে ২০১১ সালে তদন্তে প্রাপ্ত আরও ২৬ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। পরে তৃতীয় দফায় মামলায় অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে সাবেক স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী ও সিলেটের সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ মোট ৩৫ জনকে আসামি করা হয়।
অপরদিকে ২০০৪ সালের ২১ জুন দিরাই বাজারে একটি রাজনৈতিক সমাবেশে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। সমাবেশে তখন প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। ওই বোমা হামলায় এক যুবলীগকর্মী নিহত ও ২৯ জন আহত হন। ওই ঘটনায় এসআই হেলাল উদ্দিন বাদি হয়ে দিরাই থানায় মামলা দায়ের করেন।
বাসস/সংবাদদাতা/এফএইচ/২৩০০/এবিএইচ