দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বিতর্ক প্রতিযোগিতা ২১ এপ্রিল থেকে শুরু

393

ঢাকা, ৭ এপ্রিল, ২০১৮ (বাসস ) : দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ‘যুক্তির আলোয় দেখি’ শীর্ষক বিতর্ক প্রতিযোগিতা আগামী ২১ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে। এদিন এফডিসিতে এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হবে।
প্রথমবারের মতো আয়োজিত দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের অংশগ্রহণে প্রতিযোগিতার শ্লোগান ‘অন্য দৃষ্টিতে আমার পৃথিবী’।
জাতীয় প্রেসক্লাবে আজ এক সংবাদসম্মেলনে আয়োজক সংগঠন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র পরিচালক ড. তাজুল ইসলাম চৌধুরী তুহিন, জাহিদ রহমান, ড. এস এম মোর্শেদ প্রমূখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ফেডারেশনের মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান খান।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এই বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রতিবন্ধীদের নানাবিধ সমস্যা, তাদের নিয়ে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি, পরিবার ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব ইত্যাদি বিষয়সমূহ স্থান পাবে। প্রত্যেক দলে ৫ জন শিক্ষার্থী ছায়া সংসদের আদলে এ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে।
এছাড়াও প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে প্রতিবন্ধীদের হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখ, ব্যথা-বেদনার গল্প গাঁথা তুলে ধরা হবে। মূলত প্রতিবন্ধীদের প্রতি পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়াস হিসেবেই এই আয়োজন। এতে করে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নের মূল ধারায় আনার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন আরো ত্বরান্বিত হবে।
হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, দৃষ্টি-প্রতিবন্ধীদের জন্য আমরা এখনও প্রয়োজনীয় শিক্ষার পরিবেশ ও অবকাঠামো নিশ্চিত করতে পারিনি। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতিবন্ধীর জন্যে নেই উঠানামার র‌্যামপ। সরকারিভাবে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ব্রেইল পদ্ধতিতে বই পাওয়া গেলেও কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়সহ উচ্চশিক্ষাগ্রহণে এখনও ব্রেইল বই বা বিকল্প ব্যবস্থা গড়ে উঠেনি।
তবে সরকার দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে বিভিন্নভাবে কাজ করছে উল্লেখ করে হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ আরো বলেন, সমাজসেবা অধিদপ্তর ৬৪ টি জেলায় ৬৪টি সমন্বিত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। আবাসিক ও অনাবাসিক সুবিধাসহ এসব শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান সমূহে ব্রেইল পদ্ধতিতে শিক্ষাপ্রদান, বিনামূল্যে ব্রেইল বই বিতরণ, শিক্ষা উপকরণ প্রদান, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের হোস্টেল সুবিধাসহ দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছে সরকার।
এছাড়াও সরকার প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন ২০১৩ প্রণয়ন, ১০৩টি প্রতিবন্ধী সেবাকেন্দ্র স্থাপন, ৩২ টি ভ্রাম্যমান থেরাপি ভ্যানের মাধ্যমে বিনামূল্যে সেবাপ্রদান, বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রায় ৭৩ টি বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুল চালু করেছে বলে তিনি বক্তব্যে উল্লেখ করেন।