ঢাকা, ৪ অক্টোবর ২০২০(বাসস) : রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ তাদের পরিপূর্ণ বিকাশে সরকারের পাশাপাশি সমাজের সকল স্তরের মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ উপলক্ষ্যে আজ এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।
“বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০২০’ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল শিশুদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, শিশুরাই জাতির ভবিষ্যৎ। তারাই আগামী দিনে সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় নেতৃত্ব দেবে। সভ্যতা ও সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে অনন্য উচ্চতায়। এ জন্য তাদের যোগ্য নাগরিক হিসাবে গড়ে তুলতে হবে। শিশুরা স্নেহ-মমতা, জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রগতিশীল চিন্তা -চেতনায় সমৃদ্ধ হয়ে গড়ে উঠলে আগামী দিনের বিশ্বে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
বিশ্ব হয়ে উঠবে সুন্দর ও শান্তিময়। বিশ্ব শিশু দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য ‘শিশুর সাথে শিশুর তরে, বিশ্ব গড়ি নতুন করে’ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, শিশুদের শারীরিক, মানসিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশে পুষ্টি, শিক্ষা ,স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও বিনোদনের বিকল্প নেই। এগুলো শিশুর অধিকার। বিশ্বের সকল শিশুর অধিকার সংরক্ষণের বিষয়টি উপলব্ধি করে জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ গৃহীত হয়েছে। বাংলাদেশ এ সনদে অনুস্বাক্ষরকারী অন্যতম একটি দেশ। বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘ সনদ অনুযায়ী শিশু অধিকার সংরক্ষণ, শিশুর জীবন ও জীবিকা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ প্রদান, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কর্মসূচি পরিচালনাসহ শিশু নির্যাতন বন্ধ, বিশেষ করে কন্যাশিশুদের বৈষম্য বিলোপ সাধনে বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
তিনি বলেন, এর পাশাপাশি প্রণয়ন করা হয়েছে জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতি-২০১০’, ‘জাতীয় শিশু নীতি – ২০১১’ও ‘শিশু আইন-২০১৩’। এ সব কর্মসূচি ও নীতিমালা শিশুর শারীরিক ও বুদ্ধিবৃত্তি বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ২০২০ সালের সূচনালগ্ন থেকে কোভিড-১৯ মহামারি প্রাদুর্ভাবের কারণে বিশ্ব এক কঠিন দুর্যোগ মোকাবিলা করছে। শিশুরাও এই দুর্যোগের শিকার হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের স্বপ্ন শিশুর বাসযোগ্য বিশ্ব বিনির্মাণ। শিশুদের পরিপূর্ণ বিকাশের লক্ষ্যে মৌলিক অধিকার প্রদানের পাশাপাশি তাদের মধ্যে দেশপ্রেম ও মানবিক গুণাবলীর উন্মেষ ঘটাতে হবে।’
রাষ্ট্রপতি আশা করেন শিশু অধিকার সপ্তাহ ও বিশ্ব শিশু দিবস ২০২০ উদযাপনে গৃহীত কর্মসূচি শিশুদের পরিপূর্ণ বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বিশ্ব শিশু দিবসে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল শিশু স্নেহমমতা ও নিরাপদ পরিবেশে বেড়ে উঠবে বলে তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।।