মায়ানমার থেকে পেঁয়াজের প্রথম চালান চট্টগ্রাম পৌঁছেছে

514

চট্টগ্রাম, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০ (বাসস) : মায়ানমার থেকে আমদানি করা দুই কনটেইনার পেঁয়াজ চট্টগ্রাম এসে পৌঁছেছে।
চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর দিয়ে দেশে এলসি হওয়া পেঁয়াজের প্রথম চালান এটি। পাইপ লাইনে আছে পাকিস্তান, তুরস্ক, নেদারল্যান্ড ও মিসর থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ।
আজ চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৫৮ মেট্রিকটন পেঁয়াজ খালাস করা হয়েছে। এসব পেঁয়াজ আমদানি করেছেন চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠান কায়েল স্টোর।
এরআগে সোমবার ৫৮ মেট্রিক টন মায়ানমারের পেঁয়াজের ছাড়পত্র ইস্যু করেছে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের উদ্ভিদ সংঙ্গ নিরোধ কেন্দ্র।
কেন্দ্রের উপ-পরিচালক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বুলবুল জানান, পেঁয়াজের প্রথম চালানটি চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছেছে। এ সব পেঁয়াজ এসেছে মায়ানমার থেকে। এর পরপরই পাকিস্তান থেকে এসেছে আরও ১১৬ টন পেঁয়াজ। এছাড়াও তুরস্ক, নেদারল্যান্ড ও মিসর থেকেও পেঁয়াজ পাইপ লাইনে আছে।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের উদ্ভিদ সংঙ্গনিরোধ কেন্দ্র থেকে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৫৪ টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য ৩২২টি অনুমতিপত্র (আইপি) নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, পেঁয়াজের সংকট মোকাবেলায় চট্টগ্রাম বন্দরে আসার পর দ্রুত খালাসের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। কাস্টম হাউসের অভ্যন্তরীণ ‘গ্রূপ-১’ শাখায় পেঁয়াজের চালান খালাসের অনুমোদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। গ্রূপ-১ এর দায়িত্বে থাকা একজন সহকারী কমিশনার বলেন, পেঁয়াজের চালান খালাসে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে বন্দরে পেঁয়াজ আমদানির খবরে স্বস্তি ফিরেছে দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে। এখানকার পেঁয়াজ রসুন আদার বড় বিপণিকেন্দ্র হামিদুল্লাহ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস জানান, পেঁয়াজ সংকট শুরুর পর ভারতের বিকল্প দেশের মধ্যে সাগর পথে চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে প্রথম ঢুকছে মায়ানমার থেকে আসা ঁেয়াজ। সোমবার রাতে ২ কনটেইনার পেঁয়াজ ঢুকেছে বিভিন্ন আড়তে। এ পেঁয়াজের আকার, রং ও স্বাদ দেশি পেঁয়াজের মতো হওয়ায় দামও ভালো পেয়েছেন আমদানিকারক।