লম্বা ইনিংসে মনোযোগী শান্ত

265

ঢাকা, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ (বাসস) : বাংলাদেশ জাতীয় দলে নিজের স্থান পাকা করতে সেট ইনিংসকে দীর্ঘ করতে চান প্রতিশ্রুতিশীল ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত।
২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক অভিষেক হওয়ার ধারাবাহিকতার অভাবে জাতীয় দলে স্থায়ী হতে সমস্যা হচ্ছে শান্তর। এই তিন বছরে তিনি মাত্র চারটি টেস্ট, ৫টি ওয়ানডে ও দুটি আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন। তিনি একবারের জন্যও জাতীয় দলে স্থায়ী আসন গড়তে পারেননি। সেখানে তার বড় কোন সংগ্রহও নেই যেটিকে তিনি ভিত্তি করতে পারবেন।
তবে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে দারুন ভাবে হেসেছে শান্তর ব্যাট। তিনি প্রথম টি-২০ সেঞ্চুরি পুরনের পাশাপাশি বিভিন্ন ঘরোয়া টুর্নামেন্টেও বড় রান সংগ্রহ করেছেন। এর মাধ্যমে বড় সংগ্রহে নিজের সক্ষমতার প্রমান দিয়ে রেখেছেন শান্ত।
তিনি আজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিগত দুই তিনটি ইনিংসে আমার মনে হয় ভাল ব্যাট করেছি। সবখানেই আমি দীর্ঘ ইনিংস খেলেছি। এবং সেটি ছিল ধারাবাহিক। আমি বুঝতে পারছি আমার জন্য বড় ইনিংস গুরুত্বপূর্ণ। সেট পিচে আমাকে দীর্ঘ সময় টিকে থাকতে হবে।’
ইনিংস দীর্ঘায়িত করার জন্য মানষিক দৃঢ়তা গুরুত্বপূর্ণ। কোভিড-১৯ মাহামারির কারণে লকডাউনে থাকতে বাধ্য হওয়া শান্ত মনে করেন ওই সময়টিতে তার মানষিক ও শারিরিক দিক নিয়ে কাজ করার সুযোগ হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘লাকডাউন পালন করাটা কঠিন ছিল, কারণ ক্রিকেট খেলা যখন থেকে শুরু করেছি তার পর এত দীর্ঘ বিরতি আমি কখনো পাইনি। ক্রিকেট ছাড়া এত দীর্ঘ সময় ঘরে বন্দী থাকাটা ছিল বেশ কঠিন।
তবে এর ইতিবাচক দিক হচ্ছে ওই সময় অতীতের ভুলগুলো নিয়ে পর্যালোচনার সুযোগ হয়েছে। একই সাথে ভাল ইনিংসগুলোও আমি পরখ করতে পেরেছি। আমি আমার ভুলগুলো চিহ্নিত করতে এবং সেগুলো সুধরে নিতে পেরেছি। লকডাউনের সময় আমি নিজের খেলাগুলো বিশ্লেষণ করে দেখতে পেরেছি। এটি আমার জন্য খুবই উপকারী ছিল এবং আমার মনে হয় ভবিষ্যতেও এমন সুযোগ পাওয়াটা খারাপ হবে না।’
লকডাউন কাটানোর পর অনুশীলনের সুযোগ ব্যাটিং ছন্দে ফেরার জন্য দারুন কার্যকরী বলে মনে করেন শান্ত। একই সঙ্গে ছন্দ ফিরে পাবার পর ইতিবাচক খেলার প্রতি জোর দেয়ারও পক্ষে তিনি। শান্ত বলেন,‘ আমার মতে বাইরে থাকার পর এটি সব ক্রিকেটার জন্যই কঠিন। এখন আমরা মাঠে নেটে ব্যাটিংয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমার মতে আমরা যদি ইতিবাচক থাকি তাহলে সবকিছুই ভাল ভাবে সম্পন্ন করা যাবে। তবে হ্যা, বেশ কঠিন হবে। সুতরাং অনুশীলনের সুযোগ পেলে প্রথম কাজ হবে পুর্বের ছন্দ ফিরে পাওয়া।’