বাসস রাষ্ট্রপতি-১ : ওজোন স্তর রক্ষায় পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও ব্যবহার বৃদ্ধির আহবান রাষ্ট্রপতির

253

বাসস রাষ্ট্রপতি-১
রাষ্ট্রপতি-ওজোন দিবস
ওজোন স্তর রক্ষায় পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও ব্যবহার বৃদ্ধির আহবান রাষ্ট্রপতির
ঢাকা, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০ (বাসস) : রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ওজোন স্তর রক্ষায় সব ক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও তার ব্যবহার বৃদ্ধিতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহবান জানিয়েছেন। বিশ্ব ওজোন দিবস ২০২০ উপলক্ষে আজ এক বাণীতে তিনি এ আহবান জানান।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব ওজোন দিবস ২০২০’ পালিত হচ্ছে জেনে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেন। পৃথিবীর সকল জীবের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা এবং মানব স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ওজোন স্তরের গুরুত্ব সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে এ দিবস উদযাপন ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি থেকে জীববৈচিত্র্যকে সুরক্ষা দিতে পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে ওজোন স্তর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
প্রাণিজগতের অস্থিত্ব রক্ষায় অতি গুরুত্বপূর্ণ এই ওজোন স্তর ধ্বংসের ক্ষেত্রে বিভিন্ন শিল্পে বিশেষ করে শীতলীকরণ শিল্পে ব্যবহৃত ক্লোরোফ্লুরোকার্বন বা সিএফসি গ্যাস বড় ভূমিকা রাখে। এ প্রেক্ষাপটে ১৯৮৭ সালে ওজোন স্তর রক্ষায় গৃহীত জাতিসংঘের মন্ট্রিল প্রটোকল একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। ১৯৮৫ সালে গৃহীত ভিয়েনা কনভেনশন ও ১৯৮৭ সালে গৃহীত মন্ট্রিল প্রটোকলের আওতায় ওজোন স্তর সুরক্ষায় ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় পৃথিবীর সকল দেশ একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। ফলে ওজোন স্তর ক্রমান্বয়ে পূর্বের অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে বিশ্ব ওজোন দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য ‘প্রাণ বাঁচাতে ওজোন: ওজোন স্তর সুরক্ষার ৩৫ বছর’ অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক হয়েছে বলে রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন।
২০১৬ সালে গৃহীত মন্ট্রিল প্রটোকলের কিগালি সংশোধনীতে ওজোন স্তর রক্ষার পাশাপাশি বৈশ্বিক উষ্ণায়ন সৃষ্টিকারি হাইড্রোফ্লুরোকার্বনের ব্যবহার হ্রাস করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। উক্ত সিদ্ধান্ত
বাস্তবায়িত হলে এ শতাব্দীর শেষে পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি ০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পাবে বলে আশা করা যায়। একইসাথে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ক্ষেত্রেও মন্ট্রিল প্রটোকল উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।
রাষ্ট্রপতি আশা করেন মন্ট্রিল প্রটোকলের আলোকে সকল ক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও তার ব্যবহার বৃদ্ধিতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
বাসস/তবি/এমআর/১৯৩২/-এবিএইচ