পরমাণু বিজ্ঞানে বাংলাদেশের টেকসই অগ্রগতিতে আইএইএ’র প্রশংসা

526

ঢাকা, ৩১ আগস্ট, ২০২০ (বাসস) : আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)’র মহাপরিচালক রাফায়েল মারিয়ানো গ্রোসি পরমাণু বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও প্রয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের টেকসই অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় জাতিসংঘে বিভিন্ন সংস্থা ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংগঠনে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আব্দুল মুহিত গত শুক্রবার গ্রোসির কাছে তার পরিচয়পত্র প্রদান করেন। এসময় গ্রোসি এ কথা বলেন।
পরিচয়পত্র গ্রহণকালে আইএইএ’র মহাপরিচালক এক্ষেত্রে বাংলাদেশের শক্তি ও সামর্থ নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে সক্ষমতা অর্জনে বাংলাদেশকে আইএইএ’র সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি পুনরুল্লেখ করেন।
তিনি পরমাণু নিরাপত্তা, সুরক্ষা ও সেফগার্ড ইস্যুগুলোতে আইএইএ’র প্রত্যাশা পূরণ করায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেন।
গ্রোসি আরো বলেন, আইএইএ বাংলাদেশকে একটি বিশেষ দেশ হিসেবে মনে করে। সংস্থা পরমাণু জ্বালানী কর্মসূচি বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করছে।
এ সময় আইএইএ প্রধান তাদের ম্যান্ডেট বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে থেকে জোরালো রাজনৈতিক সমর্থন চেয়েছেন।
রাষ্ট্রদূত মুহিত রূপপুরে বাংলাদেশের প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের অগ্রগতি সম্পর্কে আইএইএ মহাপরিচালককে ব্রিফ করেন।
এ সময় মুহিত স্টেরাইল ইনসেক্ট টেকনিক (এসআইটি) প্রয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে আইএইএ’র সহযোগিতা চান। এটি প্রাণঘাতী ডেঙ্গুজরে জীবানুবাহী এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে রাখার একটি কৌশল।
মুহিত কোভিড-১৯ মোকাবেলায় বাংলাদেশে সক্ষমতা বাড়াতে আরটি-পিসিআর মেশিন, ডায়গনস্টিক কিট ও নিরাপত্তা সরঞ্জামাদি দিয়ে সহায়তা করার জন্য আইএইএ-কে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বাংলাদেশ ও আইএইএ’র মধ্যকার চলমান চমৎকার সহযোগিতার ভূয়সী প্রশংসা করেন। এর ফলে বাংলাদেশের জ্বালানী, স্বাস্থ্য, খাদ্য নিরাপত্তা, পরিবেশের মতো ক্ষেত্রগুলো ধারাবাহিক কারিগরি সহযোগিতা পাচ্ছে। আর এই প্রকল্পগুলো ২০৩০ সালের আগে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজিএস) অর্জনসহ বাংলাদেশের উন্নয়নে অবদান রাখছে।