কুমিল্লায় সড়ক, সেতু ও ওভারপাসসহ চারটি প্রকল্প উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

325

ঢাকা, ৫ এপ্রিল ২০১৮ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কুমিল্লায় সড়ক ও জনপদ বিভাগের ৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
প্রকল্পগুলো হচ্ছে- কোম্পানীগঞ্জ-মুরাদনগর- হোমনা মহাসড়ক ও গৌরীপুর-হোমনা সেতু, কুমিল্লা শহরের শাসনগাছা রেলওয়ে ওভারপাস এবং কুমিল্লার পদুয়ার বাজার রেলওয়ে ওভারপাস।
একইসঙ্গে ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে ফোর-লেন প্রকল্পের শেষ অংশ হিসেবে ৩০ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে চার-লেনবিশিষ্ট কুমিল্লার পদুয়ার বাজার রেলওয়ে ওভারপাস উদ্বোধন করা হয়।
৩৪৪ দশমিক ১৭৫ মিটার দীর্ঘ এবং ২১ দশমিক ৬০ মিটার প্রস্থবিশিষ্ট প্রকল্পটি সড়ক, পরিবহন ও জনপদ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্রিগেড সম্পন্ন করেছে।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের আওতায় সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর ৬৩১ দশমিক ৫০ মিটার দীর্ঘ এবং ৮ দশমিক ৯ মিটার প্রস্থবিশিষ্ট কুমিল্লা শহরের শাসনগাছা রেলওয়ে ওভারপাসটি নির্মাণ করা হয়েছে। যার নির্মাণ ব্যয় ৯৪ কোটি ৬ লাখ টাকা।
২৩ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ মুরাদনগর-হোমনা মহাসড়ক ও ১১২ দশমিক ৬ মিটার দীর্ঘ এবং ১০ দশমিক ২৫ মিটার প্রস্থ গৌরীপুর-হোমনা সেতুটি ৭৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর নির্মাণ করেছে।
অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। আরো বক্তৃতা করেন- বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার ইন-চিফ মেজর জেনারেল সিদ্দিকুর রহমান সরকার।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলাম প্রকল্পগুলো সম্পর্কে অনুষ্ঠানে ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় প্রকল্পগুলো যথাযথভাবে সম্পন্ন করার জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্রিগেডসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী জাতি। তাই দেশটাকে আমাদের সকলে মিলে গড়ে তুলতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, বিজয়ী জাতি হিসেবে আমরা বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলবো। উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তুলে জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবো।
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কুমিল্লার প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী ৯টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন। প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মোট ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় প্রথম পর্যায়ে এই ৯টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র তৈরি করা হয়।