তিন সিটিতেই আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা জয় পাবে : আশাবাদ জয়ের

722

ঢাকা, ২৯ জুলাই, ২০১৮ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয় আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে আসন্ন তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরাই বিজয়ী হবে। তিনি বলেন, বিভিন্ন স্বতন্ত্র জরিপ প্রতিবেদনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের জয়ের সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে।
তিনটি আলাদা জরিপ রিপোর্টের উল্লেখ করে সজিব ওয়াজেদ জয় আজ তার ফেসবুকে এক পোস্টে বলেন, ‘আমি সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারে যে, বরিশাল ও রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে। সিলেটে আমরা সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে আছি। কিন্তু এতে জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায় না।’
জয় বলেন, তার টিম তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সম্পর্কিত তিনটি জনমত জরিপ বিশ্লেষণ করেছে। জরিপগুলো জুলাই মাসব্যাপী নিরপেক্ষ গবেষণা উন্নয়ন কেন্দ্র (আরডিসি) পরিচালনা করে। জরিপের ফলাফল অনুযায়ী বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রায় ৪৪ শতাংশ ভোটার আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ, ১৩ দশমিক ১ শতাংশ ভোটার বিএনপি প্রার্থী মুজিবুর রহমান সরোয়ার এবং দশমিক ৮ শতাংশ ভোটার অন্য প্রার্থীদের পক্ষে ভোট দেয়ার কথা জানিয়েছেন। ১৫ দশমিক ৯ শতাংশ ভোটার মতামত জরিপে প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকৃতি জানান। ২৩ দশমিক ৫ শতাংশ ভোটার জানান, তারা এখানো সিদ্ধান্ত নেননি। বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের এক হাজার ২৪১ জন নিবন্ধিত ভোটারের মধ্যে এ জরিপ চালানো হয়।
জনমত জরিপে বলা হয়, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রায় ৫৮ শতাংশ ভোটার আওয়ামী লীগ প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটনের পক্ষে, আর ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ ভোটার বিএনপি প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ও দশমিক ৯ শতাংশ ভোটার অন্য প্রার্থীদের পক্ষে মত দেন।
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, ১২ দশমিক ৩ শতাংশ ভোটার এখনো সিদ্ধান্ত নেননি এবং ৯ দশমিক ৬ শতাংশ ভোটার কোন মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনে ১ হাজার ২৯৪ জন নিবন্ধিত ভোটারের মধ্যে এ জরিপ চালানো হয়।
জয় বলেন, সিলেটে প্রায় ৩৩ শতাংশ ভোটার আওয়ামী লীগ প্রার্থী বদরুদ্দিন আহমেদ কামরানের পক্ষে এবং ২৮ দশমিক ১ শতাংশ ভোটার বিএনপির আরিফুল হক চৌধুরীর পক্ষে মত দেন। আর ১ দশমিক ৩ শতাংশ ভোটার অন্য প্রার্থীদের পক্ষে মত দেন। সিলেটের ভোটারদের মধ্যে ১২ দশমিক ৬ শতাংশ জরিপ টিমের প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকৃতি জানান। এখান ১ হাজার ১৯৬ জন নিবন্ধিত ভোটারের মধ্যে জরিপ চালানো হয়।
জয় বলেন, জরিপে ত্রুটির মার্জিন ধরা হয়েছে প্রায় ২ দশমিক ৫ শতাংশ।
আরডিসি পাঁচ বছর ধরে জনমত জরিপ পরিচালনা করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি তাদের পদ্ধতি ও ফলাফল সবচেয়ে নির্ভুল দেখতে পেয়েছি।’ তিনি বলেন, অবশ্য গত মধ্যরাত পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারণা তুঙ্গে ছিল। নির্বাচনের ফলাফল গত এক মাস ধরে পরিচালিত এ জরিপের ফল থেকে সামান্য হেরফের হতে পারে। তিনি বলেন, বিএনপি সবধরনের অভিযোগ করে আসছে। তবে সত্য হলো দলটি সকল জনপ্রিয়তা হারিয়েছে। অপরদিকে বিগত বছরগুলোতে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা অধিক থেকে অধিকতর বৃদ্ধি পেয়েছে। জয় বলেন, ‘বিএনপি আর আওয়ামী লীগের জন্য নির্বাচনী হুমকি নয়।’ তিনি আওয়ামী লীগের সদস্য, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ক্ষমতাসীন দলের ওপর দোষ চাপাতে বিএনপি’র ভোট কেন্দ্র দখল ও ব্যালট বাক্সে ভোট ভরে দেয়ার সম্ভাব্য প্রচেষ্টার ব্যাপারে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।
জয় বলেন, আপনারা সবাই বিএনপি নেতাদের ফোনালাপের রেকর্ড শুনেছেন। তারা গাজীপুরের নির্বাচনে ঠিক এই চক্রান্তই করেছিল। তারা এই নির্বাচনকে বিতর্কিত করার জন্য আওয়ামী লীগকে ফাঁসাতে সক্রিয়ভাবে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।