ফসলের পাশাপাশি শাকসবজি ও বিভিন্ন প্রজাতির দেশজ ফলের উৎপাদন বাড়াতে হবে : খাদ্যমন্ত্রী

594

ঢাকা, ১৩ আগস্ট ২০২০ (বাসস) : খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ফসলের পাশাপাশি শাকসবজি ও নানা প্রজাতির দেশজ ফলের উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন।
আজ “মনিটরিং রিপোর্ট ২০২০ অব দ্য বাংলাদেশ সেকেন্ড কান্ট্রি ইনভেস্টমেন্ট প্লান নিউট্রেশন- সেনসেটিভ ফুড সিস্টেম” শীর্ষক সভায় সভাপতির বক্তবে তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী তার মিন্টু রোডস্থ সরকারি বাসভবন থেকে অনলাইন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন। অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম।
এফএও, ইউএসএআইডি এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এফপিএমইউ-এর যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সভায় খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিটা ইঞ্চি জমিকে উৎপাদনের আওতায় আনতে হবে। এজন্য সেচ ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে। বরেন্দ্র এলাকায় বৃষ্টির পানি ধরে রাখা যায় না। এ এলাকায় ফসল উৎপাদনের জন্য কিভাবে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা যায় সে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখতে হবে। পাশাপাশি কৃষকের উৎপাদিত ফসলের প্রাপ্য মূল্যের নিশ্চয়তা দিতে হবে। তাহলে কৃষক ফসল উৎপাদনে উৎসাহিত হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, করোনাকালীন বিভিন্ন ধরনের ফসলের পাশাপাশি সবজি ও নানা ধরনের দেশজ ফল চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করতে হবে। উৎপাদনের পর সঠিক বাজার ব্যবস্থাপনা নির্বিঘœ করতে হবে। সবজি ও ফলমূলের ক্ষেত্রে কৃষকের চেয়ে মধ্যস্বত্বভোগীরা বেশি মুনাফা নিয়ে যায়। ফলে দিন দিন কৃষক এ সেক্টরে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। কিন্তু শাকসবজি ও দেশজ ফল বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির অন্যতম উৎস।
করোনা মহামারীর কারণে অনেক মানুষ কাজ হারিয়ে বেকার হয়ে পড়ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই করোনা থেকে কবে মুক্তি তা এখনও কেউ জানে না। সে জন্য নতুন করে চিন্তা-ভাবনা করতে হবে কিভাবে এই করোনাকে মোকাবেলা করে দারিদ্র্যের হার কমানো যায়।
মন্ত্রী বলেন, আমরা অনেকেই অসচেতন। এই করোনার সময়েও অনেকেই মাস্ক পড়ে না। এজন্য আরো সচেতনতা তৈরি করতে হবে। তেমনি খাদ্যেও অনেকে ভেজাল দেয়। এজন্য আমরা জনসচেতনতা সৃষ্টি করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা আমাদের মনকে ভেজাল মুক্ত করতে না পারবো, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা ভেজাল মুক্ত হতে পারবনা। তিনি এই করোনাকালীন সেবার মনমানসিকতা নিয়ে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।