গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কমেছে

886

ঢাকা, ১১ আগস্ট, ২০২০ (বাসস) : দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের ১৫৭তম দিনে ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় এই ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কমেছে।
গত ২৪ ঘন্টায় ১৪ হাজার ৮২০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২ হাজার ৯৯৬ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গতকাল ১২ হাজার ৮৪৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২ হাজার ৯০৭ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ২০ দশমিক ২২ শতাংশ। আগের দিন এ হার ছিল ২২ দশমিক ৬২ শতাংশ। আগের দিনের চেয়ে আজ শনাক্তের হার ২ দশমিক ৪ শতাংশ কম।
আজ দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন হেলথ বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।
অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা জানান, দেশে এ পর্যন্ত মোট ১২ লাখ ৮৭ হাজার ৯৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২ লাখ ৬৩ হাজার ৫০৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মোট পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৩ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। গতকালের চেয়ে আজ ৬ জন কম মৃত্যুবরণ করেছেন। গতকাল ৩৯ জন মৃত্যুবরণ করেছিলেন। এখন পর্যন্ত দেশে এ ভাইরাসে মৃত্যুবরণ করেছেন ৩ হাজার ৪৭১ জন। করোনা শনাক্তের বিবেচনায় আজ মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩২ শতাংশ। গত ৫ আগস্ট থেকে মৃত্যুর একই হার বিদ্যমান রয়েছে ।
অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতাল এবং বাসায় মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৫৩৫ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৫১ হাজার ৯৭২ জন।
তিনি জানান, আজ শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৭ দশমিক ৬৭ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ৫৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ। আগের দিনের চেয়ে আজ সুস্থতার হার দশমিক ০৮ শতাংশ কম।
অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, ‘করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৫ হাজার ৩১৭ জনের। আগের দিন সংগ্রহ করা হয়েছিল ১২ হাজার ৮৫৫ জনের। গতকালের চেয়ে আজ ২ হাজার ৪৬২টি নমুনা বেশি সংগ্রহ করা হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় দেশের ৮৬টি পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৪ হাজার ৮২০ জনের। আগের দিন নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ১২ হাজার ৮৪৯ জনের। গত ২৪ ঘন্টায় আগের দিনের চেয়ে ১ হাজার ৯৭১টি বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
তিনি জানান ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ২৮ জন পুরুষ এবং ৫ জন নারী। এখন পর্যন্ত পুরুষ ২ হাজার ৭৪৯ জন;৭৯ দশমিক ২০ শতাংশ এবং ৭২২ জন নারী মারা গেছেন; ২০ দশমিক ৮০ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ৩০ জন এবং বাড়িতে ৩ জন মারা গেছেন।
অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা জানান, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১৪ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৫ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ২ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৫ জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ১ জন রয়েছেন। এ পর্যন্ত যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের বয়স এবং শতকরা হার শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে ১৯ জন, যা দশমিক ৫৫ শতাংশ; ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ৩৪ জন, যা দশমিক ৯৮ শতাংশ; ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৯০ জন, যা ২ দশমিক ৬৯ শতাংশ; ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ২২৪ জন, যা ৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ; ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৪৭৬ জন, যা ১৩ দশমিক ৭১ শতাংশ; ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৯৮৬ জন, যা ২৮ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং ৬০ এর অধিক বয়সের রয়েছেন ১ হাজার ৬৪২ জন, যা ৪৭ দশমিক ৩১ শতাংশ।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৫ জন, চট্টগ্রামে ৫ জন, রাজশাহীতে ৫ জন, খুলনায় ৩ জন, ময়মনসিংহে ১ জন এবং রংপুরে ৪ জন রয়েছেন। এ পর্যন্ত বিভাগ অনুযায়ী মারা গেছেন, ঢাকা বিভাগে ১ হাজার ৬৫৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৮১৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ২২৬ জন, খুলনা বিভাগে ২৬৮ জন, বরিশাল বিভাগে ১৩৪ জন, সিলেট বিভাগে ১৫৮ জন, রংপুর বিভাগে ১৩৯ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৭৬ জন।
অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘ঢাকা মহানগরীতে কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে সাধারণ শয্যায় ভর্তি রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ১২৭ জন, আইসিইউ শয্যায় ভর্তি আছে ২০২ জন। চট্টগ্রাম মহানগরীতে সাধারণ শয্যায় ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা ২৩৫ জন, আইসিইউ শয্যায় ভর্তি আছে ১৭ জন। সারাদেশে অন্যান্য হাসপাতালে সাধারণ শয্যায় ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৭৫৯ জন এবং আইসিইউ শয্যায় ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা ৯৪ জন। সারাদেশে হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ১৫ হাজার ২৬৮টি, রোগী ভর্তি আছে ৪ হাজার ১২১ জন এবং শয্যা খালি আছে ১১ হাজার ১৪৭টি। সারাদেশে আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ৫৪৩টি, রোগী ভর্তি আছে ৩১৩ জন এবং খালি আছে ২৩০টি। সারাদেশে অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংখ্যা ১২ হাজার ৫৫৭টি। সারাদেশে হাই ফ্লো নেজাল ক্যানেলা সংখ্যা ৩৫০টি এবং অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ১৬০টি।’
০১৩১৩-৭৯১১৩০, ০১৩১৩-৭৯১১৩৮, ০১৩১৩৭৯১১৩৯ এবং ০১৩১৩৭৯১১৪০ এই নম্বরগুলো থেকে হাসপাতালের সকল তথ্য পাওয়া যাবে। কোন হাসপাতালে কতটি শয্যা খালি আছে। কত রোগী ভর্তি ও কতজন ছাড় পেয়েছেন এবং আইসিইউ শয্যা খালি আছে কি না এই ফোন নম্বরগুলোতে ফোন করে জানা যাবে বলে তিনি জানান।
অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৮৬৩ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৯ হাজার ২৬০ জন। আইসোলেশন থেকে ২৪ ঘণ্টায় ৫৮৪ জন এবং এখন পর্যন্ত ৩৯ হাজার ৮৫ জন ছাড় পেয়েছেন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশন করা হয়েছে ৫৮ হাজার ৩৪৫ জনকে।
তিনি জানান, প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিন মিলে ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে ২ হাজার ৮৮৪ জনকে। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫২ হাজার ৮০৭ জন।
নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘন্টায় স্বাস্থ্য বাতায়ন ১৬২৬৩ হটলাইন নম্বরে ফোনকল গ্রহণ করা হয়েছে ১০ হাজার ৭৭৩টি, ৩৩৩ এই নম্বরে ৫২ হাজার ১৮৯টি এবং আইইডিসিআর’র হটলাইন ১০৬৫৫ নম্বরে ফোন এসেছে ৪০১টি। সব মিলিয়ে ২৪ ঘন্টায় ফোনকল গ্রহণ করা হয়েছে ৬৩ হাজার ৩৬৩টি। এ পর্যন্ত হটলাইনে ফোনকল এসেছে ১ কোটি ৮৬ লাখ ৫১ হাজার ৯১টি।
অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, করোনাভাইরাস চিকিৎসা বিষয়ে এ পর্যন্ত ১৬ হাজার ৪৯৮ জন চিকিৎসক অনলাইনে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। এদের মধ্যে ৪ হাজার ২১৭ জন স্বাস্থ্য বাতায়ন ও আইইডিসিয়ার’র হটলাইনগুলোতে স্বেচ্ছাভিত্তিতে সপ্তাহে ৭ দিন ২৪ ঘন্টা জনগণকে চিকিৎসাসেবা ও পরামর্শ দিচ্ছেন। এছাড়া ২৪ ঘন্টায় কোভিড বিষয়ক টেলিমেডিসিন সেবা গ্রহণ করেছেন ১ হাজার ৬৭৮ জন। এ পর্যন্ত শুধু কোভিড বিষয়ে স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণ করেছেন ১ লাখ ৮৮ হাজার ৩৯৯ জন। প্রতিদিন ৩৫ জন চিকিৎসক ও ১০ জন স্বাস্থ্য তথ্যকর্মকর্তা দুই শিফটে মোট ৯০ জন টেলিমেডিসিন সেবা দিয়ে যাচ্ছেন বলে তিনি জানান।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় টেলিমেডিসিন সেবার জন্য যেসব কল এসেছে এরমধ্যে ৩১০ জনকে মেডিকেল এসিসমেন্ট এবং চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে। ফলোআপ কলের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে ৮২ জনকে এবং ইনকামিং কলের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে ১ হাজার ২৮৬ জনকে।
অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় যেসব ফোনকল এসেছে এই রোগীদের বিশ্লেষণে দেখা গেছে অল্প ঝুঁকিপূর্ণ রোগীর হার ৮৫ দশমিক ১৪ শতাংশ, মধ্যম ঝুঁকিপূর্ণ ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং অতি ঝুঁকিপূর্ণ রোগী ছিল ২ দশমিক ৩৬ শতাংশ। গতকালের মেডিকেল এসিসমেন্টের পাওয়া তথ্য অনুযায়ী করোনাসহ বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় আক্রান্ত এমন রোগীর সংখ্যা ছিল ২০ দশমিক ৩২ শতাংশ। শুধুমাত্র করোনা আক্রান্ত এমন রোগী ছিল ৭৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ, এবং বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা ছিল তাদের মধ্যে ডায়াবেটিস আক্রান্ত শতকরা ৪৯ দশমিক ২১ শতাংশ, উচ্চ রক্তচাপ শতকরা ৩৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ, এজমা বা শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত ১৯ দশমিক ০৫ শতাংশ, হৃদরোগে আক্রান্ত ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং কিডনি রোগে আক্রান্ত ছিলেন ৩ দশমিক ১৭ শতাংশ। গতকালের ফলোআপ এসিসমেন্টের মধ্যে মৃত ব্যক্তি ছিলেন একজন, তার বয়স ছিল ৫০ বছর এবং তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন।
অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, যারা কল করেছিলেন তাদের মধ্যে ৬৭ শতাংশ পুরুষ ও নারী ৩৩ শতাংশ। সর্বমোট কলের ২৩ শতাংশ ছিল করোনাভাইরাস সম্পর্কিত, ২০ শতাংশ ভাইরাস জ্বর সম্পর্কিত, ১০ শতাংশ শুকনো কাশি, ৮ শতাংশ গলাব্যথা সংক্রান্ত কল এবং বেশিরভাগ কল ছিল ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগ থেকে।
এছাড়া করোনাকালীন মা টেলিহেলথ সেবা চালু রয়েছে। এর মাধ্যমে গর্ভবতী মা ও শিশুদের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। এই টেলিমেডিসিন সেন্টার থেকে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৩৯৫ জন গর্ভবতী মা ও শিশুকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে। যার মধ্যে ২০৬ জন করোনা আক্রান্ত গর্ভবতী মাকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে।
তিনি জানান, দেশের বিমানবন্দর, নৌ, সমুদ্রবন্দর ও স্থলবন্দর দিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় ১ হাজার ৭১৭ জনসহ সর্বমোট বাংলাদেশে আগত ৮ লাখ ১৩ হাজার ৯৪৬ জনকে স্কিনিং করা হয়েছে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিস্থিতি তুলে ধরে অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ১০ আগস্ট পর্যন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী ২৪ ঘন্টায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬৬ হাজার ৯৭৩ জন। এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ২৬ লাখ ৩২ হাজার ৭৭৩ জন। ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুবরণ করেছেন ১ হাজার ১০৮ জন এবং এ পর্যন্ত ৫৩ হাজার ৬৭৭ জন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ১০ আগস্ট পর্যন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী সারাবিশ্বে ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৫৩ হাজার ৪০৯ জন। এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ৯৭ লাখ ১৮ হাজার ৩০ জন। ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুবরণ করেছেন ৫ হাজার ৭১৯ জন এবং এ পর্যন্ত ৭ লাখ ২৮ হাজার ১৩ জন বলে তিনি জানান।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে ঘরে থাকা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, জনসমাগম এড়িয়ে চলা, সর্বদা মুখে মাস্ক পরে থাকা, সাবান পানি দিয়ে বারবার ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোয়া, বাইরে গেলে হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার, বেশি বেশি পানি ও তরল জাতীয় খাবার, ভিটামিন সি ও ডি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া, ডিম, মাছ, মাংস, টাটকা ফলমূল ও সবজি খাওয়াসহ শরীরকে ফিট রাখতে নিয়মিত হালকা ব্যায়াম এবং স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়।
ডা.নাসিমা সুলতানা বলেন, ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে, কারণ তা অতিরিক্ত ঝুঁকি তৈরি করে।
তিনি জানান, দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনের আজ সমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে। এর পর থেকে দুপুর আড়াইটায় নিয়মিত এই বুলেটিন আর হবে না। এখন থেকে করোনা পরিস্থিতিসহ এ সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গণমাধ্যমে জানানো হবে।