বাসস দেশ-৩২ : বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত আলাউদ্দিন আলী

208

বাসস দেশ-৩২
আলাউদ্দিন আলী-দাফন
বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত আলাউদ্দিন আলী
ঢাকা, ১০ আগস্ট, ২০২০ (বাসস): মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক আলাউদ্দিন আলী।
বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে বলে পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে।
এর আগে বেলা সোয়া ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত তার মরদেহ রাখা হয় চার দশকের কর্মস্থল বিএফডিসিতে। সেখানে শিল্পীদের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয় ফুলেল ভালোবাসা। এখানে তৃতীয় জানাজা শেষে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে।
এর আগে সকাল ১১টার দিকে মরদেহ বারডেমের হিমঘর থেকে নেওয়া হয় রামপুরা। এরপর বাদ জোহর দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয় আলাউদ্দীন আলীর আবাসস্থল খিলগাঁওয়ে। সেখানকার নূর-ই-বাগ মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
বরেণ্য গীতিকার ও সুরকার আলাউদ্দিন আলী রোববার ৫টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।
দীর্ঘদিন ধরে আলাউদ্দিন আলী ফুসফুসের প্রদাহ ও রক্তে সংক্রমণসহ শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। শনিবার ভোরে তাকে রাজধানীর মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
প্রথমে ২০১৫ সালের ৩ জুলাই আলাউদ্দিন আলীকে ব্যাংকক নেওয়া হয়েছিল। সেখানে পরীক্ষার পর জানা যায়, তার ফুসফুসে একটি টিউমার রয়েছে। এরপর তার অন্যান্য শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি ক্যান্সারের চিকিৎসাও চলছিল। এর আগে বেশ কয়েক দফায় তাকে মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে তিনি শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। বাংলাদেশ ও ব্যাংককে তার চিকিৎসা হয়েছে। সাভারে সেন্টার ফর রিহ্যাবিলিটেশন অব প্যারালাইজড কেন্দ্রেও তিনি দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিয়েছেন।
আলাউদ্দিন আলী বাংলাদেশের বরেণ্য সুরকার, সংগীত পরিচালক ও গীতিকার। এ পর্যন্ত ৮ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। এর মধ্যে ১৯৭৮ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত টানা তিনবার পুরস্কৃত হয়ে সংগীত পরিচালক হিসেবে রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। যে রেকর্ড আজও কেউ ভাঙতে পারেনি।
গুণী এই মানুষের জন্ম ১৯৫২ সালের ২৪ ডিসেম্বর মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার বাঁশবাড়ি গ্রামে। তার বাবা ওস্তাদ জাদব আলী। মায়ের নাম জোহরা খাতুন।
‘একবার যদি কেউ ভালোবাসত’, ‘যে ছিল দৃষ্টির সীমানায়’, ‘ভালোবাসা যত বড় জীবন তত বড় নয়’, ‘দুঃখ ভালোবেসে প্রেমের খেলা খেলতে হয়’, ‘এই দুনিয়া এখন তো আর সেই দুনিয়া নাই’, ‘সূর্যোদয়ে তুমি সূর্যাস্তেও তুমি ও আমার বাংলাদেশ’, ‘এমনও তো প্রেম হয়, চোখের জলে কথা কয়’, ‘হয় যদি বদনাম হোক আরও’, ‘প্রথম বাংলাদেশ, আমার শেষ বাংলাদেশ’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের তিনি সুরকার।
বাসস/এমএসএইচ/১৯৫০/-শআ