বাসস দেশ-৪৯ : নির্ধারিত সময়েই বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে : বিমান প্রতিমন্ত্রী

342

বাসস দেশ-৪৯
প্রতিমন্ত্রী – পরিদর্শন
নির্ধারিত সময়েই বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে : বিমান প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৯ আগস্ট, ২০২০ (বাসস) : বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো: মাহবুব আলী বলেছেন,হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ‘তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ কাজ’ নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সম্পন্ন হবে।
তিনি আজ রোববার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের নবনির্মিত ভবন পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদেও এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করার পর থেকে কাজ চলছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, চলতি ২০২০ সালের এখন পর্যন্ত মোট কাজের ৬ দশমিক ৪ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। নির্মাণ কাজের অগ্রগতিও সন্তোষজনক। মাহবুব আলী বলেন,‘আমরা আশা করছি,তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য নির্ধারিত আগামী ২০২৩ সালের ৩০ জুনের মধ্যে এ টার্মিনালের নির্মাণ কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন এবং তা যাত্রীদের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করাও সম্ভব হবে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মহিবুল হক, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোঃ মফিদুর রহমান ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে মোঃ মাহবুব আলী জানান,‘ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণে ভূমি উন্নয়ন কাজ সম্পন্নের পর বর্তমানে পাইলিংয়ের কাজ চলমান রযেছে। তিন হাজারের কিছু বেশি পাইলিংয়ের মধ্যে ৪৬৪ টি পাইলিং ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী এ সময় জানান,হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে বিশ^মানের-বিমানবন্দর করতেই অত্যাধুনিক টার্মিনাল নির্মাণ কাজ চলছে। পাশাপাশি সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উন্নয়ন কাজও একইসাথে চলমান আছে।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে মাহবুব আলী বলেন,হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের বিদ্যমান নকশায় কোন পরিবর্তন করা হচ্ছে না। নির্মাণ স্থানের মাটির অবস্থার কারণে স্ক্রুড পাইলিংয়ের পরিবর্তে বোর পাইলিংযের কাজ করা হচ্ছে। একান্তই এটি একটি টেকনিক্যাল বিষয়।
তিনি বলেন, এ কারণে প্রকল্প ব্যয় কোনভাবেই বাড়বে না বরং মোট প্রকল্প ব্যয় হতে সাড়ে ৭ শ’ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।
সাশ্রয়কৃত টাকায় সরকার ও জাইকার সম্মতি সাপেক্ষে এবং অন্যান্য বিধিগত প্রক্রিয়া নিষ্পত্তির মাধ্যমে তৃতয়ি টার্মিনালে নির্মিতব্য ১২টি বোর্ডিং ব্রিজের অতিরিক্ত আরো ১৪ টি বোর্ডিং ব্রিজ ও একটি ভিভিআইপি কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা রযেছে।
বাসস/সংবাদদাতা/জেডআরএম/২২৩৮/এবিএইচ