বাসস দেশ-৩০ : ক্যানবেরায় বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উদযাপন

138

বাসস দেশ-৩০
বঙ্গমাতা- ক্যানবেরা
ক্যানবেরায় বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উদযাপন
ঢাকা, ৮ আগস্ট, ২০২০ (বাসস) : বাংলাদেশ হাইকমিশন, ক্যানবেরাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকী যথাযথভাবে উদযাপন করা হয়েছে।
আজ ক্যানবেরাস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনাভাইরাস জনিত মহামারীর জন্য যথানিয়মে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্যানবেরাস্থ প্রবাসী বাংলাদেশি ও হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ এতে উপস্থিত ছিলেন।
দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা হয়ে উঠার প্রেরণাদানকারী বঙ্গমাতার স্মৃতির ওপর আলোচনা পর্বে হাইকমিশনার সুফিউর রহমানসহ ক্যানবেরাস্থ অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসীরা অংশগ্রহণ করেন।
আলোচকরা বঙ্গমাতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, বঙ্গমাতা ছিলেন বাঙালির অহংকার ও নারী সমাজের প্রেরণার উৎস। আলোচনায় স্বাধীনতা সংগ্রামের কঠিন দিনগুলোতে বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে বঙ্গমাতা কিভাবে দৃঢ়তার সাথে পরিস্থিতির মোকাবেলা করেছিলেন তা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে তাঁর অবদানকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা হয়।
হাইকমিশনার তার বক্তব্যের শুরুতে আগস্ট মাসকে শোকের মাস হিসেবে উল্লেখ করে ১৫ই আগস্টে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতাসহ সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
তিনি আলোচনায় শেখ মুজিবের যুব নেতা থেকে বাঙ্গালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠার সকল স্তরে শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব ও বঙ্গমাতার অসীম অবদানের উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য তিনি বঙ্গবন্ধুকে বাংলাদেশের জন্য উৎসর্গ করেন, এটাই তাঁর সর্বোত্তম অবদান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণের মুখে হাসি ফোটানোর প্রয়াসের মধ্য দিয়ে জাতি বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার এ ঋণ শোধ করতে পারেন।
বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠানের শুরুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
এছাড়া তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
পরে অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় নির্মিত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের স্মৃতিচারণমূলক ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
বাসস/সবি/এমআর/১৮৩৫/-কেজিএ