বাসস দেশ-২৫ : ডিএনসিসির ৮৭ স্থাপনায় লার্ভা, ১,২৮,৬০০ টাকা জরিমানা

179

বাসস দেশ-২৫
ডিএনসিসি-জরিমানা
ডিএনসিসির ৮৭ স্থাপনায় লার্ভা, ১,২৮,৬০০ টাকা জরিমানা
ঢাকা, ৮ আগস্ট, ২০২০ (বাসস) : নগরীর ৮৭টি স্থাপনায় ডেংগুর বাহক এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় সংশ্লিস্টদের ১ লাখ ২৮ হাজার ৬শ’ টাকা জরিমানা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি)।
এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেংগু থেকে সুরক্ষা দিতে তৃতীয় পর্যায়ে বিশেষ পরিছন্নতা অভিযান বা চিরুনি অভিযানের আজ প্রথম দিনে এ জরিমানা করা হয়।
গত ৬ থেকে ১৫ জুন প্রথম ও ৪ থেকে ১৪ জুলাই দ্বিতীয় পর্যায়ের চিরুনি অভিযান শেষে আজ ৮ আগস্ট থেকে তৃতীয় পর্যায়ের ১০ দিনব্যপী চিরুন অভিযান শুরু হয়। চিরুনি অভিযান চলাকালে ভ্রাম্যমাণ আদালত আরও জোরদার করা হয়েছে। যেসব ক্ষেত্রে ভবন বা স্থাপনার মালিক পাওয়া যাবে না, সেসব ক্ষেত্রে প্রয়োজনে নিয়মিত মামলা করা হবে।
ডিএনসিসি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ জানানো হয়, ‘তৃতীয় পর্যায়ের ১০ দিনব্যাপী বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযানের প্রথম দিনে আজ সকাল ১০টা থেকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) ৫৪টি ওয়ার্ডে একযোগে বিশেষ এই পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালিত হয়েছে। আজ মোট ১২ হাজার ৭৩৬ টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করে মোট ৮৭ টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৭ হাজার ৩০১টি বাড়ি বা স্থাপনায় এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এ সময় ২০টি মামলায় মোট ১ লাখ ২৮ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে এবং অন্যান্য বাড়ি ও স্থাপনার মালিককে সতর্ক করা হয়েছে।’
আজ উত্তরা অঞ্চল-১ এর অধীনে মোট ৭৯৮ টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১২ টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে ৬টি মামলায় মোট ১৪ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া ৬৮৭ টি বাড়ি বা স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
মিরপুর অঞ্চল-২ এর অধীনে মোট ২ হাজার ৪১৭টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩ টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ২৩৫ টি বাড়ি বা স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মাস্ক ব্যবহার না করার জন্য ৫টি মামলায় মোট ৬০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মহাখালী, অঞ্চল-৩ এর অধীনে মোট ১ হাজার ৬১৪ টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩৮ টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৯৭৫ টি বাড়ি বা স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এসময় ৪টি মামলায় মোট ৯০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
মিরপুর ১০, অঞ্চল-৪ এর অধীনে মোট ১হাজার ৫২৬টি বাড়ি বা স্থাপনা পরিদর্শন করে ৮টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে ২টি মামলায় মোট ১হাজার ৫০০টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়া ৬২৫টি বাড়ি বা স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
কারওয়ান বাজার, অঞ্চল-৫ এর অধীনে মোট ২ হাজার ১৬১টি বাড়ি বা স্থাপনা পরিদর্শন করে ৭টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ১ হাজার ৬৪৪টি বাড়ি বা স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
হরিরামপুর, অঞ্চল-৬ এর অধীনে মোট ১হাজার ৩৯০ টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১০ টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ১হাজার ১৩৮ টি বাড়ি বা স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
দক্ষিণখান অঞ্চল-৭ এর অধীনে মোট ৮৮৬টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ২ টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৬৯৩ টি বাড়ি বা স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
উত্তরখান অঞ্চল-৮ এর অধীনে মোট ৭৪৩ টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ২টি স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৪৬৮ টি বাড়ি/ স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
ভাটারা অঞ্চল-৯ এর অধীনে মোট ৪৯১ টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ৫ টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এবং ২৮৯ টি বাড়ি/ স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
সাঁতারকুল অঞ্চল-১০ এর অধীনে মোট ৭১০টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে কোন এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়নি। তবে এসময়ে ৫০৭টি বাড়ি/ স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। উল্লিখিত সকল সম্ভাব্য এডিস মশার প্রজন স্থলে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনাপূর্বক কীটনাশক ছিটানো হয়েছে এবং জনসাধারণকে এবিষয়ে পরবর্তীতে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
তৃতীয় ধাপে চিরুনি অভিযান পরিচালনার লক্ষ্যে এবারও প্রতিটি ওয়ার্ডকে ১০টি সেক্টরে ভাগ করে প্রতিটি সেক্টরকে ১০টি সাবসেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিদিন প্রতিটি ওয়ার্ডের ১টি সেক্টরে অর্থ্যাৎ ১০টি সাবসেক্টরে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হবে। দীর্ঘমেয়াদি আধুনিক মশক নিধন ব্যবস্থাপনার অংশ হিসাবে বিগতবারের ন্যায় এবারও এডিসের লার্ভা প্রাপ্তির স্থানসমূহ এবং প্রজনন উপযোগী পরিবেশসমূহের তথ্য অ্যাপে সংরক্ষণ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের অভিযানে মোট ২ লাখ ৭৪ হাজার ৫৭৬টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ২হাজার ৬৮৬টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং সর্বমোট ৪৮ কক্ষ ১২হাজার ৫১০টাকা জরিমানা করা হয়েছিলো। এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেংগু থেকে সুরক্ষা দিতে ডিএনসিসির চিরুনি অভিযান আগামীকালও অব্যাহত থাকবে।
বাসস/সবি/এমএসএইচ/১৭২৫/-কেকে