বাজিস-১ : বিশ্বকবির ৭৯তম প্রয়াণ দিবস : শিলাইদহ কুঠিবাড়ীতে নেই কোন আয়োজন

214

বাজিস-১
কুষ্টিয়া -বিশ্বকবি
বিশ্বকবির ৭৯তম প্রয়াণ দিবস : শিলাইদহ কুঠিবাড়ীতে নেই কোন আয়োজন
কুষ্টিয়া, ৬ আগস্ট, ২০২০ (বাসস) : আসা-যাওয়ার পথের ধারে গান গেয়ে মোর কেটেছে দিন/যাবার বেলায় দেব কারে বুকের কাছে বাজল যে বীণ…। বৃষ্টিভেজা এমন দিনেই শেষবারের মতো বেজে উঠেছিল বীণা। চির বিদায় নিয়েছিলেন কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আজ বাইশে শ্রাবণ। কবিগুরুর ৭৯তম প্রয়াণ দিবস। ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের এ দিনে পৃথিবী থেকে চির প্রস্থান করেন বাংলা সাহিত্য সঙ্গীতের কিংবদন্তি পুরুষ। তবে বিশ^কবির এ প্রয়াণ দিবসে তাঁর স্মৃতি বিজড়িত কুষ্টিয়ার কুমারখালীর শিলাইদহ কুঠিবাড়ীতে বিগত বছরে স্বল্প পরিসরে হলেও কিছু আয়োজন হতো। কিন্তু করোনার কারণে এবার তা সম্ভব হয়নি। ফলে নিরবে-নিভৃতে কুঠিবাড়ী জুড়ে শ্রাবণের রিমঝিম বর্ষণে কাটছে বিশ^কবির প্রয়াণ দিবস। এদিকে একটি সুত্র জানিয়েছে, করোনা সংকটে কোন প্রকার জনসমাগম না করার কারণে কুষ্টিয়া শিলাইদহ কুঠিবাড়ী বা সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে কোথাও কোন আয়োজন নেই।
মানবতাবাদী রবীন্দ্রনাথ মানুষের ওপর দৃঢ়ভাবে আস্থাশীল ছিলেন। তাঁর মতে, মানুষই পারে অসুরের উন্মত্ততাকে ধ্বংস করে পৃথিবীতে সুরের রাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে। তাই ‘সভ্যতার সঙ্কট’ প্রবন্ধে তিনি লিখেছিলেন, ‘মানুষের প্রতি বিশ্বাস হারানো পাপ।’
তিনি লিখেছেন, চুকিয়ে দেব বেচা কেনা,/মিটিয়ে দেব গো, মিটিয়ে দেব লেনা দেনা… পৃথিবীর সঙ্গে লেনাদেনা সব চুকে দিয়েছিলেন তিনি। যা-কিছু মোর সঞ্চিত ধন/এতদিনের সব আয়োজন/চরমদিনে সাজিয়ে দিব উহারে-/মরণ যেদিন আসবে আমার দুয়ারে…। মরনেরে সঞ্চিত সব ধন উজার করে দিয়েছিলেন কবিগুরু।
প্রতি বছর কবিগুরুর প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে কুষ্টিয়ার এ শিলাইদহ কুঠিবাড়ীতে প্রত্মতত্ব বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে থাকে আলোচনা সভা, রবীন্দ্র সংগীত, কবিতা আবৃতিসহ নানা আয়োজন। কিন্তু এবার তার ব্যতিক্রম ঘটেছে। তবে ফেসবুক, ইউটিউবে কবিগুরুকে স্মরণ করা হবে। তাঁর স্মৃতির উদ্দেশ্যে প্রণতি জানানো হবে বলে জানিয়েছেন রবীন্দ্র ভক্তরা।
বাসস/সংবাদদাতা/১০৪০/নূসী