নগরবাসীর প্রত্যাশা পূরণে প্রথম দিন থেকে কাজ করেছি : বিদায়ী মেয়র নাছির

317

চট্টগ্রাম, ৫ আগস্ট, ২০২০ (বাসস) : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বিদায়বেলায় বলেছেন, মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার প্রথম দিন থেকে তিনি নগরবাসীর প্রত্যাশা বুঝতে চেষ্টা করেছেন এবং মেয়াদের পুরো সময়টুকু এসব প্রত্যাশা পূরণে অবিরাম কাজ করেছেন।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)-এর নির্বাচিত পরিষদের ৫ বছর মেয়াদের শেষদিন আজ বুধবার দুপুরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্যোগে থিয়েটার ইনস্টিটিউট, চট্টগ্রাম (টিআইসি) মিলনায়তনে আয়োজিত প্রীতি সম্মিলনে মেয়র নাছির এসব কথা বলেন।
আ জ ম নাছির বলেন, ‘চট্টগ্রামের আম-জনতা ও চসিকের কর্মীদের যে ভালোবাসা পেয়েছি তাতে মনে করি আমি সফল। ১০০ ভাগ আত্মতৃপ্তি নিয়ে শেষ কর্মদিবস অতিবাহিত করছি। আমৃত্যু মানুষের পাশে থাকবো। জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য কাজ করি আমি। আমার দুয়ার আগেও সবার জন্য খোলা ছিল, মেয়রের হিসেবে দায়িত্ব পালনের ৫ বছরেও সে দুয়ার নিরাপত্তার কঠোর বেষ্টনিতে সংকুচিত হয়নি। ভবিষ্যতেও একইভাবে সব মানুষের জন্য এ দুয়ার উন্মুক্ত থাকবে।’
মেয়র বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের শুরুতেই বুঝেছিলাম নগরে এবং প্রতিষ্ঠানে কিছু জটিল ও চ্যালেঞ্জিং কাজ রয়েছে। এসব জটিলতা ও চ্যালেঞ্জকে মোকাবেলায় আমি নির্ভয়ে নেমে পড়েছি। প্রতিষ্ঠানের চ্যালেঞ্জগুলো সাধারণ মানুষ না দেখলেও তারা দেখেছেন নগরীতে দীর্ঘদিন জমে থাকা জঞ্জাল পরিষ্কার করতে আমাকে অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে এবং আজ বলতে পারি, ইনশাল্লাহ আমি সফল হয়েছি।
তিনি বলেন, চসিকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৩১ বছরের সমস্যার সমাধান করেছি। সাড়ে ৩ বছর চেষ্টা করে প্রবিধানমালা অনুমোদন করিয়েছি। এখন থেকে গ্রেডেশন তালিকার ভিত্তিতে পদোন্নতি হবে। চসিকের জন্য আরেকটা নতুন অর্গানোগ্রাম প্রক্রিয়াধীন আছে। যখন দায়িত্ব নিয়েছিলাম চসিকের কর্মীদের বেতন ছিল মাসে ৯ কোটি টাকা, এখন এ বেতনের পরিমাণ ১৯ কোটি টাকা। এরপরও নিয়মিত বেতনভাতা দিতে সমর্থ হয়েছি।
তিনি বলেন, আমরা যারা নির্বাচন করি, আমাদের মাথায় থাকে এখানে হার-জিত দু’টোই আছে। একটা হার মানে সারাজীবনের পরাজয় নয়, পরবর্তী জয়ের লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার সাধনার যাত্রা। আমাদের মনে রাখতে হবে, দেশ এগিয়ে যাওয়া মানে আমার এগিয়ে যাওয়া। আমাদের প্রত্যেককে আত্মকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
সিটি কর্পোরেশনের সকলকে নিয়ে একযোগে কাজ করার কথা উল্লেখ করে মেয়র বলেন, সফলতা একার পক্ষে সম্ভব নয়, এটি টিমওয়ার্ক। বিগত ৫ বছরে আমরা একটি পরিবার হিসেবে কাজ করতে পেরেছি। চসিক পরিবারের আন্তরিক সহযোগিতার কারণে সফলতা অর্জন করতে পেরেছি। এর জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আমি চেষ্টা করেছি প্রত্যেককে যথাযোগ্য সম্মান ও মর্যাদা দিতে।
চসিকের প্রধান নির্বাহী মো. সামশুদ্দোহার সভাপতিত্বে প্রীতি সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনি, কাউন্সিলর সালেহ আহমদ চৌধুরী, ইসমাইল বালী, মোহাম্মদ আজম ও আনজুমান আরা, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমেদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ একেএম রেজাউল করিম, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সাইফুদ্দিন আহমেদ, সারওয়ার হোসেন খান প্রমুখ।