বাসস ক্রীড়া-১০ : দলের কাছ থেকে উড়ন্ত সূচনা চান মিসবাহ

185

বাসস ক্রীড়া-১০
ক্রিকেট-মিসবাহ
দলের কাছ থেকে উড়ন্ত সূচনা চান মিসবাহ
ম্যানচেস্টার, ৪ আগস্ট ২০২০ (বাসস) : ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে দলের কাছ থেকে একটা উড়ন্ত সূচনা চান পাকিস্তানের প্রধান কোচ ও নির্বাচক মিসবাহ উল হক। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে উড়ন্ত সূচনা হলেই সাফল্য পাওয়া যাবে বলে মনে করেন তিনি। এই এগিয়ে যাওয়ার মন্ত্রের জন্য দলকে প্রস্তুত থাকার আহবান মিসবাহর।
নিজ মাঠে গেল ১০টি টেস্ট সিরিজের আটটিতে প্রথম ম্যাচ হারে ইংল্যান্ড। সদ্য শেষ হওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টও হেরেছিলো ইংলিশরা। ঐ সিরিজ দিয়ে ১১৬ দিন করোনাভাইরাসের মধ্যে শুরু হয় ক্রিকেট।
ম্যানেচেষ্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডেই ক্রিকেটের পথচলা শুরু হয়েছিলো। প্রথম সফরকারী দল ছিলো জেসন হোল্ডারের ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এবার পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজটিও এই ভেন্যু দিয়ে শুরু হচ্ছে।
মিসবাহ মনে করেন, ইংল্যান্ড সুবিধাজনক অবস্থায় থাকবে। তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি তিন ম্যাচ খেলে শেষ দুই টেস্টে জয় পাওয়া ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আমরা প্রস্তুত আছি। আমরা ‘এগিয়ে যাবার’ মন্ত্রে সিরিজটি খেলতে এসেছি। যদি আমরা টেস্ট ও ম্যাচ জিততে চাই, তবে আমাদের সেরাটা দিতে হবে।’
প্রথম টেস্টে শতভাগ দিতে পারলেই ম্যাচ জয় সম্ভব বলে মনে করেন মিসবাহ। তিনি বলেন, ‘কিছুটা এগিয়ে থাকা ইংল্যান্ডকে নিয়ে আমরা সতর্ক। যদি আমরা শতভাগ দিতে পারি, তবেই আমরা ইংল্যান্ডকে হারাতে পারবো। অন্যথায় আমরা নিজেদেরকে বিপদে ফেলবো।’
ইংল্যান্ড ও পাকিস্তান, দু’দলই নিজেদের মধ্যে দু’টি করে প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ খেলেছে। তবে চার বছর আগে ইংল্যান্ডের মাটিতে সিরিজ ড্র, মিসবাহ আত্মবিশ্বাসী করছে। তিনি বিশ্বাস করেন, ব্যাটসম্যানরা স্কোরবোর্ডকে শক্তপোক্ত করে বোলারদের লড়াই করার সুযোগ করে দিবে।
তবে ইংল্যান্ডের কন্ডিশনে ডিউক বলে খেলাটা সবসময়ই কঠিন বলে মনে করেন মিসবাহ। তিনি বলেন, ‘ইংল্যান্ডের কন্ডিশনে ডিউক বলে খেলাটা সবসময়ই কঠিন। কারন এখানে বাতাস ও সিমের কারনে বল বেশি মুভ করে। কিন্তু আপনি এখানে লড়াই করতে পারেন এবং গেল দুই সিরিজে আমাদের ব্যাটিংটা বেশ ভাল ছিল। আমরা পাকিস্তানে খেলেছি, এমনকি অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বেশিরভাগ ইনিংসেই বড়-বড় রান করতে পেরেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার বিপক্ষে গেল দু’টি সিরিজে সেঞ্চুরি করেছেন শান মাসুম, আবিদ আলি। এবারের কন্ডিশন ভিন্ন, কিন্তু আগের সিরিজে ভালো করতে পারলে আত্মবিশ্বাসী হতে বড় ভূমিকা রাখে। শ্রীলংকার বিপক্ষে আজহার আলীও সেঞ্চুরির পেয়েছিলো। ২০১৬ সালে এখানে রান করেছিলো আসাদ শফিক। অসর্বশেষ ২০১৮ সালের সফরে বাবর আজম পারফরমেন্স করেছে, সে আত্মবিশ্বাসী ছিল ও ভালো খেলেছে।’
ইংল্যান্ডের পেস অ্যাটাক অনেক বেশি অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। প্রায় ৬শ টেস্ট উইকেট ঝুলিতে রয়েছে এন্ডারসনের। সদ্যই ৫শ উইকেট শিকারের মাইলফলক স্পর্শ করেছে ব্রড।
এমন পেস আক্রমনের বিপক্ষে পাকিস্তানী ব্যাটসম্যানদের কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে বলে মনে করেন মিসবাহ, ‘ইংল্যান্ডের অভিজ্ঞ ও দুর্দান্ত বোলিং অ্যাটাক আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জের। কিন্তু আমি মনে করে, আমাদের সামর্থ্য রয়েছে। মানসিকভাবে ছেলেরা এখন ভালো অবস্থায় রয়েছে কারন দুর্দান্ত পারফরমেন্স নিয়ে এখানে এসেছে। যখন আপনি মানসিকভাবে আত্মবিশ্বাসী হবেন, তখন ভালো অবস্থায় পৌছাতে পারবেন। তাহলে মাঠে সর্বদা ভালো করতে পারবেন।’
বাসস/এএমটি/১৮৫০/স্বব