বাসস দেশ-৩৭ : কোরবানীর পশুর হাটের নিরাপত্তা ঘিরে ডিএমপির নানা উদ্যোগ

413

বাসস দেশ-৩৭
পশুরহাট-নিরাপত্তা
কোরবানীর পশুর হাটের নিরাপত্তা ঘিরে ডিএমপির নানা উদ্যোগ
ঢাকা, ২৫ জুলাই ২০২০ (বাসস): কোরবানীর পশুর হাটের নিরাপত্তা ঘিরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
ডিএমপি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, হাট কেন্দ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে, ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ,পশুর হাট কেন্দ্রিক সাদা পোশাকে পুলিশের নিরাপত্তা টহল, প্রতিটি পশুর হাটে ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন, পশুর হাটে অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোলরুম স্থাপন,পশুর হাট কেন্দ্রিক মানি এস্কর্ট ব্যবস্থা গ্রহণ, কন্ট্রোলরুম এবং থানায় মানি এস্কর্ট টিম স্ট্যান্ডবাই রাখা, কোরবানির পশুর হাটে জাল নোট সনাক্তকরণ মেশিন স্থাপন,পশুর হাটের চৌহদ্দির বাহিরে হাট বসতে না দেয়া,বলপূর্বক পশুবাহী ট্রাক বা নৌকা আটকিয়ে অন্য হাটে নামানো বন্ধে উদ্যোগ গ্রহণ, নির্ধারিত হারে হাসিল আদায় নিশ্চিত করা,হাসিলের হার বড় ব্যানার বা ফেস্টুনের মাধ্যমে দৃশ্যমান রাখা,জাল টাকার বিস্তার রোধ ও পশুর হাটে অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি, পকেটমার ও অন্যান্য অপরাধীদের তৎপরতা বন্ধ করতে কার্যকারী ব্যবস্থা গ্রহণ।
এছাড়া পশুর বিক্রয়লব্ধ টাকা ছিনতাই প্রতিরোধে পুলিশি তৎপরতা বৃদ্ধি,অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোলরুম ও ওয়াচ টাওয়ারে জন সচেতনতামূলক ব্যানার স্থাপন,পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং প্রবেশ মুখে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখা ও জীবাণুনাশক চেম্বার স্থাপন,করোনা সংক্রমন ঝুঁকি এড়াতে অনলাইন ভিত্তিক বিক্রয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে নিবন্ধিত হয়ে পশু বিক্রির জন্য উৎসাহিত করা হবে।
তাছাড়া সার্বক্ষণিক মেডিকেল টিম ও ভেটেরিনারী অফিসার (পশুর ডাক্তার) নিয়োজিত রাখা, হাট এলাকার পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, পশুর হাটে নিরাবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা এবং ফায়ার টেন্ডার মোতায়েন রাখা ইত্যাদি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিএমপি ইজারাদারদের দায়িত্ব পালনে বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- নির্ধারিত তারিখের পূর্বে হাটে পশু না আনা, চৌহদ্দির বাঁশ দিয়ে ঘিরে রাখা, চৌহদ্দির বাহিরে হাট না বসানো, পশু বহনকারী ট্রাকের সামনে হাটের নাম ব্যানারে লিখে রাখা, এক হাটের পশু অন্য হাটে না নামানো, নির্ধারিত হারের অতিরিক্ত হাসিল আদায় না করা, হাট এলাকায় সিসিটিভি স্থাপন ও মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করা, ক্রেতা ও বিক্রেতাদের স্বাস্থবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করা, জেনারেটরের ব্যবস্থা রাখা, পর্যাপ্ত সংখ্যক সেচ্ছাসেবক দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ নিয়োগ করা, টাকা পরিবহনে পুলিশের মানি এস্কর্ট সেবা গ্রহণ করা, হাটের মধ্যে স্থায়ী খাবারের দোকান স্থাপন করা এবং কোরবানির পশু ব্যবসায়ীদের মলম পার্টি, অজ্ঞান পার্টি সম্পর্কে সচেতন করতে লিফলেট দেওয়া ও মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করা।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, ডিএমপি ঢাকা মহানগরীর সকল বিপনী বিতান, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির টাকা লেনদেন ও পরিবহনে মানি এস্কর্ট ব্যবস্থা প্রবর্তন, সকল লঞ্চ ও বাস টার্মিনালে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে।
ঈদ-উল-আযহা ২০২০ উপলক্ষে পশুর হাটের জন্য স্বাস্থ্য বিধিমালা, কাঁচা চামড়া পাচার রোধ এবং ক্রয়-বিক্রয়কালে ব্যবস্থা এবং রেলওয়ে স্টেশনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও ঈদ পরবর্তী নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
বাসস/সবি/এমএমবি/২১৫৩/এবিএইচ