বাসস ক্রীড়া-১১
ক্রিকেট-মনোবিদ
ভয় জয় করার ক্লাসে নারী ও যুব ক্রিকেটাররা
ঢাকা, ২০ জুলাই ২০২০ (বাসস) : প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের কারনে চার মাস ধরে ক্রিকেট থেকে দূরে দেশের ক্রিকেটাররা। তাই এ অবস্থায় মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়তে পারেন তারা। এজন্য বাংলাদেশ নারী ও বিশ্বজয়ী যুব ক্রিকেটারদের মানসিক সুস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে মনোবিদের শরণাপন্ন হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
কানাডা প্রবাসী মনোবিদ আলী খানের সঙ্গে শনিবার রাতে ভার্চুয়ালি প্রথম দিনের ক্লাস করেছে নারী ক্রিকেটাররা। আর গতকাল রাতে নিজেদের প্রথম সেশন করেছেন বিশ্বকাপ জয়ী যুব দল।
প্রায় দুই ঘণ্টার এই সেশনে খেলোয়াড়দের সাহস দিয়েছেন আলী খান। তার বার্তা ছিলো- করোনাকালে যেন ভয় না পান এবং ভড়কে না যান। নিজেদের ওপর আত্মবিশ্বাস রাখতে পারলে আর কোন সমস্যা হবে না বলেও জানান তিনি।
আশার কথা হলো, মনোবিদের এই একটি ক্লাসেই মানসিকভাবে ফুরফুরে হয়ে উঠেছেন নারী দলের ওয়ানডে দলপতি রুমানা আহমেদ। অনেকের অবস্থাও যে তাই, আঁচ করতে পারাটা কঠিন নয়। সঙ্গত কারণেই ভীষণ খুশি দেশ সেরা এই অলরাউন্ডার।
মনোবিদের ক্লাস শেষে আজ নারী ক্রিকেটার রুমানা আহমেদ বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস করানোর চেষ্টা করছেন, আমরা যেটা ভাবি বা যেটা নিয়ে যাতে টেনশন না করি। কারন বাস্তবতা মোটেও সে রকম নয়। কী হবে, না হবে এসব নিয়ে আমরা অনেক বেশি চিন্তা করি বলেই, এক ধরনের চাপ মনের ওপরে এসে যাচ্ছে। তিনি আমাদের বলেছেন, ভয়-ভীতি জীবনকে তছনছ করে দেয়। ভয় না পেয়ে নিজেদের ওপরে যেন বিশ্বাস রাখতে পারি সেই কথা বলেছেন। আমি ক্রিকেট অনুশীলন করছি ১০ বছরের বেশি সময় হয়ে গেছে। এখন চার মাস যদি আমি বসেও থাকি, সব ভুলে যাব এটা তো হতে পারে না। এভাবেই উদাহরন দিয়ে আমাদের বুঝিয়েছেন সবকিছু।’
নিজেদের ক্ষমতার উপর বিশ্বাস রাখার পরামর্শ দিয়েছেন আলী খান। রুমানা বলেন, ‘লম্বা বিরতি শেষে মাঠে ক্রিকেট ফিরলে হয়ত আর কিছুই আর আগের মতো হবে না। এমনটা ভাবা যাবে না। ঠিক এই ভীতিটিই দূর করার পরামর্শ দিয়েছেন মনোবিদ। ১০ বছরের স্কিল তো আর চার মাসে ভুলে যাওয়া সম্ভব নয়। এই সময়ে এমন ক্লাস অবশ্যই আমাদের অনেক সহযোগিতা করবে। এর আগে ২০১৪ সালে আামাদের একটি ক্লাস নিয়েছিলেন তিনি। ইয়োগা করা, মনের বিশ্বাস যোগানো, মানসিক সাপোর্ট, সবকিছু সাহসের সাথে করা, এগুলো শিক্ষা দিয়েছিলেন। এতে করে অনেকেই মানসিকভাবে এগিয়ে যাবে। আমরা এই ক্লাস করে খুবই খুশি, কারণ এটা আমাদের দরকার ছিল।’
নারী ও যুব ক্রিকেটাররা মনোবিদের ক্লাস থেকে উপকৃত হলে, পরবর্তীতে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দেরও এই আওতায় আনা হবে জানিয়েছিলো বিসিবি।
বাসস/এএমটি/১৯৩১/স্বব