ই-পাসপোর্ট প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নে জার্মানির রাষ্ট্রদূতের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

1031

ঢাকা, ২৫ জুলাই, ২০১৮ (বাসস): প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এমআরপি) পাশাপাশি ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট) ইস্যুর জন্য দ্রুত ই-পাসপোর্ট প্রকল্প বাস্তবায়নে জার্মানির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ সকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. টমাস এইনরিচ প্রিন্জ বিদায়ী সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী এই আহ্বান জানান। বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
গত ১৯ জুলাই বাংলাদেশ ও জার্মান ই-পাসপোর্ট প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সরকার টু সরকার একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। গিয়েসেকি প্লাস ডিভরিয়েন্ট ও রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠান বুনডেসড্রুকেরেই-এর যৌথ উদ্যোগ বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সলিউশান্স প্রোভাইডার হিসেবে পরিচিত প্রতিষ্ঠান ভেরিডস এই চুক্তি বাস্তবায়ন করবে। এই চুক্তির আওতায় মোট ৩৪০ মিলিয়ন ইউরো ব্যয়ে বাস্তবায়নাধিন প্রকল্প ১২ বছর পর্যন্ত চলবে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘কিন্তু এদেশে সমস্যা হচ্ছে, এখানে সরকার পরিবর্তন হলে আগের প্রশাসনের গৃহীত প্রকল্পগুলো পরবর্তী সরকার এসে বন্ধ করে দেয়।’
প্রধানমন্ত্রী জার্মান রাষ্ট্রদূতের প্রশংসা করে বলেন, তিনি গত সাড়ে তিন বছর এখানে তার কার্যকালে দ্’ুদেশের মধ্যে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়েছেন।
শেখ হাসিনা বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
জার্মান রাষ্ট্রদূত ঢাকায় অবস্থানকালে তাকে সার্বিকভাবে সহযোগিতার জন্য প্রধানমন্ত্রী ও তার সরকারের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আমি এখানে অনেক চমৎকার সময় কাটিয়েছি।’
টমাস এইনরিচ প্রিন্জ বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তাকে উদ্ধৃত করে প্রেস সচিব বলেন, বিদায়ী রাষ্ট্রদূত বলেছেন, ‘বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আমরা অনেক ভালো অবস্থানে আছি।’
তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নে জার্মানির সহযোগিতা অব্যাহত তাকবে বলেও আশ্বস্ত করেন।
জার্মানির রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং বলেন, দেশের প্রত্যেক মানুষের হাতে মোবাইল ফোন দেখে তিনি খুবই মুগ্ধ।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।