সাহেদের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা

310

ঢাকা, ১৬ জুলাই, ২০২০ (বাসস) : রিজেন্ট গ্রুপ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের উত্তরার গোপন অফিস থেকে জাল টাকা উদ্ধারের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এলিট ফোর্স র‌্যাব বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় এ মামলা করে।
উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তপন চন্দ্র্র সাহা আজ বাসসকে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি জানান, উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের ২০ নম্বর সড়কের ৬২ নম্বর বাসা থেকে ১ লাখ ৪৬ হাজার জাল টাকা উদ্ধারের ঘটনায় র‌্যাব বাদি হয়ে এ মামলা করে। ওই মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সাহেদকে। এছাড়া রিজেন্টের এমডি মাসুদ পারভেজসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে সাহেদ করিমের এই বাসার ৪ (এ) ফ্লাটে তল্লাশি চালিয়ে ১ লাখ ৪৬ হাজার জাল টাকা উদ্ধার করে র‌্যাব। প্রতারণা, জাল-জালিয়াতি, টাকা আত্মসাৎসহ নানা অপকর্মের ঘটনায় ইতোপূর্বে সাহেদের বিরুদ্ধে ৫৯টি মামলার সন্ধান পায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এদিকে আজ বৃহস্পতিবার মো. সাহেদ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসুদ পারভজকে উত্তরা পশ্চিম থানার প্রতারণা মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
একই মামলায় সাহেদের প্রধান সহযোগি তরিকুলের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম মো. জসিম তাদের এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বুধবার ভোরে রিজেন্ট প্রুপ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমকে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত এলাকা ইছামতি নদী থেকে আটক করেছে এলিট ফোর্স র‌্যাব। এসময় তার দেহ থেকে একটি বিদেশী অবৈধ পিস্তল ও ম্যাগাজিনভর্তি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
র‌্যাব সদস্যরা ২টি হেলিকপ্টারে করে তাকে ঢাকায় নিয়ে আসেন। প্রথমে তাকে ঢাকার পুরাতন বিমানবন্দরে আনা হয়। এরপর সাহেদকে জিঞ্জাসাবাদের জন্য ঢাকার র‌্যাবের সদর দফতরে নেয়া হয়েছে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল উত্তরায় অভিযান পরিচালনা করে তার গোপন আস্তানা থেকে ১ লাখ ৪৬ হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়েছে।
জিজ্ঞাবাদ ও চিকিৎসা শেষে বুধবারই তাকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে সোপর্দ করা হয়।
গত ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় অভিযান চালায় এলিট ফোর্স র‌্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত। অভিযানে ভুয়া করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে। পরে রিজেন্টের উত্তরা ও মিরপুর শাখা সিলগালা করে দেয়া হয়। পরবর্তীতে এ ঘটনায় র‌্যাব সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ৮ জনকে গ্রেফতার করে। গত ৮ জুলাই দিবাগত রাতে রাজধানীর নাখালপাড়া থেকে সাহেদের প্রধান সহযোগী তারেক শিবলী ওরফে তরিকুলকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।
এছাড়া সাহেদের প্রতারণা কাজের অন্যতম সহযোগি মাসুদ পারভেজকে মঙ্গলবার রাতে গাজীপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত ৮ জন বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।