লোক সমাগম পরিহার করে কোরবানির পশুর হাট বসানোর জন্য তাজুলের আহবান

944

ঢাকা, ১১ জুলাই, ২০২০ (বাসস) : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আযহায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধে লোক সমাগম কম রেখে কোরবানির পশুর হাট বসানোর জন্য সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
তিনি আজ ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন কোরবানির পশু অনলাইনে বিক্রির প্লাটফর্ম ‘ডিএনসিসি ডিজিটাল হাট’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অনলাইনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই আহবান জানান।
এ সময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ডিজিটাল হাট থেকে প্রথম কোরবানির পশু ক্রয় করে অনলাইনে বেচাকেনারও উদ্বোধন করেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, দেশের শহর অঞ্চল ছাড়াও গ্রামে-গঞ্জে দু’একটি জায়গায় কোরবানির পশু বেচাকেনা করার জন্য জায়গা নির্ধারণ না করে একটি ওয়ার্ডে বা ইউনিয়নে খোলামেলা স্থানে হাটের আয়োজন করলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিস্তার রোধে ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, এতে করে একদিকে যেমন পশু বেচাকেনার ওপর কোন প্রভাব পড়বে না, তেমনি সাধারণ মানুষকে করোনাভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা করাও সম্ভব হবে।
কোরবানির পশুর বেচাকেনার জন্য যেখানেই হাট বসানো হোক না কেন, অবশ্যই সেখানে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব সহ সরকারের অন্যান্য নির্দেশনা মেনেই বসতে হবে এবং সেই লক্ষ্যে তার মন্ত্রণালয় প্রাথমিক একটি বৈঠকও করেছে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
যে সকল এলাকায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেশি বা যে এলাকাগুলোকে হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে সে সব এলাকায় পশুর হাট বসানো বর্জন করারও আহবান জানান তিনি।
করোনাভাইরাসের সংকটে ডিজিটাল পদ্ধতিতে গবাদিপশু বেচাকেনার গুরুত্ব তুলে ধরে তাজুল বলেন, এটি দেশে গবাদিপশু ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে একটি নতুন মাত্রা যুক্ত করবে। করোনাভাইরাসের সংকট থেকে মুক্তি পাওয়ার পরও অনলাইনে গবাদিপশু ছাড়াও বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাবেচা অব্যাহত থাকবে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী অনলাইনে ক্রয়-বিক্রয়ে লেনদেন ও পণ্যের মান সহ বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করে বলেন, এই প্লাটফর্মে বেচাকেনার জন্য সাধারণ মানুষের আস্থা নিশ্চিত করার কোন বিকল্প নেই।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে এই অনলাইন সভায় অংশ গ্রহণ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মুস্তাফিজুর রহমান ও এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম।