বাসস দেশ-৩৩ : মাসব্যাপী জাতির পিতার শাহাদাত বার্ষিকী পালনের সিদ্ধান্ত

347

বাসস দেশ-৩৩
শোক দিবস-কর্মসূচি
মাসব্যাপী জাতির পিতার শাহাদাত বার্ষিকী পালনের সিদ্ধান্ত
ঢাকা, ৮ জুলাই ২০২০ (বাসস) : যথাযোগ্য মর্যাদায় মাসব্যাপী জাতীয় শোক দিবস ২০২০ ও জাতির পিতার শাহাদাত বার্ষিকী পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিট্।ি’
আজ বুধবার বিকাল সাড়ে ৩ টায় অনুষ্ঠিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির এক বিশেষ অনলাইন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এছাড়াও জাতির পিতার শাহাদাত বার্ষিকী পালনে গৃহীত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শহিদ বেগম মুজিব ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালের জন্মদিন বর্ণাঢ্য আয়োজনের সাথে পালন করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি’র সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় আমন্ত্রিত সদস্যরা অনলাইন অ্যাপ্স ‘জুম’ এর মাধ্যমে অংশগ্রহণ করেন।
আগামী ১৫ই আগস্ট তারিখে টেলিভিশন চ্যানেল, অনলাইন মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসমূহে প্রচারের জন্য বিশেষ আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নির্মাণের বিভিন্ন বিষয়কে আলোচকদের সামনে তুলে ধরেন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।
এই সভায় উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, আইন মন্ত্রী আনিসুল হক, শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মণি, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, তথ্য ও যোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্য সচিব শেখ হাফিজুর রহমান।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দফতর থেকে উপ¯িত’ ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ, তথ্য সচিব কামরুন নাহার, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, আইন সচিব গোলাম সারওয়ার, মাধ্যমিক ও উ”চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, সংস্কৃতি সচিব এম বদরুল আরেফিন, যুব ও ক্রীড়া সচিব মো. আখতার হোসেন, সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লে. জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান, মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবদুল গাফফার খান, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক জনাব লিয়াকত আলী লাকী, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ্ সিরাজী, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক এস এম হারুন অর রশীদ, জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক খন্দকার মুস্তাফিজুর রহমান, এনডিসি, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিনসহ বাস্তবায়ন কমিটির উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
এছাড়াও গণমাধ্যম ও শিল্প-সাহিত্য জগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে উপস্থি ছিলেন বীরপ্রতীক লে. কর্ণেল (অব:) কাজী সাজ্জাদ আল জহির, রামেন্দু মজুমদার, অধ্যাপক ফখরুল আলম, মফিদুল হক, অ্যাটকো’র সভাপতি ও মাছরাঙা টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু এবং অ্যাটকো’র সিনিয়র সহ-সভাপতি ও একাত্তর টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবু, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামনিস্ট সুভাষ সিংহ রায়, কবি তারিক সুজাত প্রমুখ।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ঘাতকচক্র ১৯৭৫ সালের আগস্ট মাসের ১৫ তারিখে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করায় আগস্ট মাস বেদনাবিধুর শোকের মাস। এই মাসের ৫ তারিখে বঙ্গবন্ধুর জ্যৈষ্ঠ পুত্র মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল ও ৮ তারিখে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের জন্মদিন। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হলে তাঁরাও শাহাদত বরণ করেন। বাঙালি জাতির স্বাধীনতা অর্জনের ইতিহাসে তাঁদের অবদান জাতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।
বাসস/সবি/বিকডি/২১৩৫/এবিএইচ