বাসস দেশ-৪৭ : রাজধানীতে সাইবার পুলিশ স্টেশন (থানা) গড়ে তোলা হবে : সিআইডি প্রধান

372

বাসস দেশ-৪৭
সিআইডি-সাইবার সেটশন
রাজধানীতে সাইবার পুলিশ স্টেশন (থানা) গড়ে তোলা হবে : সিআইডি প্রধান
ঢাকা, ৬ জুলাই, ২০২০ (বাসস) : দেশের প্রথম সাইবার পুলিশ স্টেশন (থানা) রাজধানী ঢাকাতেই গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান।
তিনি বলেন,দেশের প্রথম সাইবার পুলিশ স্টেশন করতে যাচ্ছে সিআইডি। সাইবার ক্রাইমের অভিযোগ নিয়ে সাইবার পুলিশ স্টেশন কাজ করবে। এজন্য একটি সাইবার পুলিশ স্টেশন করা হবে। এবিষয়ে সরকারের কাছে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।
আজ সোমবার রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা বলেন সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান। সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান বলেন, পুলিশ বাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে সাইবার অপরাধ নিয়ে কাজ করে এমন ইউনিটও আছে। এখন পর্যন্ত দেশে সংশ্লিষ্ট একক কোনো থানা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এবিষয়ে সাইবার অপরাধ নিয়ে কাজ করবে এমন একটি থানা প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এজন্য তদন্তকারী এ সংস্থাটি সরকারের কাছে একটি পূর্ণাঙ্গ ‘সাইবার পুলিশ স্টেশন’ স্থাপনের জন্য প্রস্তাবনা দিয়েছে।
সিআইডির প্রধান বলেন, সাইবার পুলিশ স্টেশনে সাইবার এক্সপার্ট একটি টিম থাকবে। এছাড়াও ইনভেস্টিগেশন এবং অপারেশনের জন্য আলাদা টিম থাকবে। এক্ষেত্রে প্রতিটি জেলায় সিআইডি কার্যালয়ের কর্মকর্তারা সহযোগীতা করবে। ঢাকার বাইরে সিআইডির কার্যালয়ে গিয়েও ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করতে পারবেন। আবার আসামি গ্রেফতার বা অপারেশনের জন্য জেলার সিআইডি কর্মকর্তারাও সহযোগিতা করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে তারা ঢাকা থেকে আইটি সাপোর্ট পাবেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সিআইডিতে থাকা মামলাগুলোর ৮২ শতাংশ অভিযোগপত্র দিয়েছে, তবে সাজা হয়েছে মাত্র ২৪ শতাংশ।
সাজার পরিমাণ কম হওয়ার কারণ প্রসঙ্গে সিআইডির প্রধান বলেন, মামলার ক্ষেত্রে শাস্তির হার কম কেন এবিষয়টি জানতে স্টাডি করা হচ্ছে। সাবেক জজ এবং আইনজীবীদের হায়ার করে একটি কমিটি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এক মাসের মধ্যে তারা বিভিন্ন মামলাগুলোর গবেষণা করে তাদের জাজমেন্ট জানাবেন। আশা করি এ বিষয়ে আগামীতে ভালো ফল আসবে।
তদন্ত করাই বর্তমানের সিআইডির সব চাইতে বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এর মূল সমস্যা হচ্ছে শুধু মৌখিক সাক্ষীর ওপর নির্ভর করতে হয়। আমরা চাচ্ছি, কোনো ঘটনায় মৌখিক সাক্ষী সংগ্রহের পাশাপাশি ফরেনসিক এভিডেন্স থাকবে। যদি মৌখিক সাক্ষী পরবর্তীতে নাও কার্যকর হয় তবে এ এভিডেন্সের ভিত্তিতে মামলার বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হবে’।
তিনি বলেন, সিআইডিতে সর্বমোট তিন হাজার ১০৮ জনবল আছে। এদেরকে কাজের সুবিধার্থে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেয়া হয়ে থাকে। বর্তমানে মামলার সংখ্যা বাড়ছে সেই সঙ্গে কাজের পরিধিও বাড়েছে। এজন্য দেশের প্রতিটি জেলায় সিআইডির পক্ষ থেকে একজন পুলিশ সুপার (এসপি) এবং একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত এসপি) থাকবে।
তাদের কাজের পরিধি এবং কিছু ক্ষমতাও বাড়ানো হচ্ছে। এতে করে যেকোনো মামলার তদন্তে ভালো ফল আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। ইতোমধ্যে এর ৮০ শতাংশ সেটআপ হয়ে গেছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, দেশে ইন্টারনেট সুবিধা অনেকটাই সহজলভ্য হয়েছে। প্রতিদিনই বাড়ছে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা। ইন্টারনেট ব্যবহারে মানুষের যেমন সুবিধা হচ্ছে আবার অপরাধের প্রবণতাও বাড়ছে। অনেকেই সাইবার ক্রাইমের শিকার হচ্ছেন। এ বিষয়ে রাজধানীসহ সারাদেশেরই সাইবার আইনে মামলাও দায়ের হচ্ছে। আবার অনেক অপরাধীও ধরা পড়ছেন।
বাসস/সংবাদদাতা/এফএইচ/২২২২/এবিএইচ