বাসস দেশ-৩ : বরিশালে ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ প্রকল্পের ঋণ সহায়তায় বেশি সাফল্য পেয়েছে আগৈলঝাড়া উপজেলায়

128

বাসস দেশ-৩
বরিশাল-সাফল্য
বরিশালে ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ প্রকল্পের ঋণ সহায়তায় বেশি সাফল্য পেয়েছে আগৈলঝাড়া উপজেলায়
॥ শুভব্রত দত্ত ॥
বরিশাল, ৫ জুলাই ২০২০ (বাসস) : ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ প্রকল্প থেকে ঋণ সহায়তা নিয়ে জেলার ১০ উপজেলার মধ্যে সব থেকে বেশি স্বপ্নের সফলতা এসেছে আগৈলঝাড়া উপজেলায়।
জেলা সমন্বয়কারীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ভিশন-২০২১ ভিশন-২০৪১ এবং স্বপ্ন সোপান এ তিনটি বিষয়কে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগ নামে ব্রান্ডিং করা ১০টি উদ্যোগের মধ্যে সর্বশীর্ষে ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ প্রকল্প। প্রকল্প এলাকায় বসবাসকারী ব্যক্তিরা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে তাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নিয়োজিত হয়েছেন। প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য-অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে তহবিল গঠন ও পারিবারিক খামারের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন ও টেকসই উন্নয়ন।
কার্যালয় সূত্র আরো জানায়, ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ প্রকল্প সমিতির মাধ্যমে জেলার ১০ উপজেলার মধ্যে সব থেকে বেশি কার্যকর সফলতা এসেছে আগৈলঝাড়া উপজেলায়। প্রকল্প সমিতি ১’শ টি, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক এর সমিতি ৬৪টি, প্রকল্প সদস্য ৩ হাজার ৮’শ ৯০ জন। পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক এর সদস্য ২ হাজার ৮’শ ২০ জন, প্রকল্প সঞ্চয় প্রায় ১ কোটি ২৩ লাখ ৬৯ হাজার টাকা, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক এর সঞ্চয় প্রায় ১ কোটি ২৯ লাখ ৩ হাজার টাকা। প্রকল্পের সরকারের তহবিল প্রায় ৪ কোটি ২৯ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক এর সরকারের তহবিল প্রায় ২ কোটি ৫৩ লাখ ৮৩ হাজার টাকা। প্রকল্পের ঋণ বিতরণ প্রায় ৪ কোটি ৯৩ লাখ ৫২ হাজার টাকা। পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক এর ঋণ বিতরণ প্রায় ১২ কোটি ৫০ কোটি ৯২ হাজার টাকা। প্রকল্পের ঋণ আদায় প্রায় ২ কোটি ৬৬ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক এর ঋণ আদায় প্রায় ১০ কোটি ১২ লাখ ৫৮ হাজার টাকা।
আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ সমিতির সদস্য আফসানা বেগম ৭ বছর আগে ১০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে ছাগল পালন শুরু করেছিলেন। পরে আবার সম্পুরক ঋণ নেয় এবং ছাগল বিক্রি লাভের অর্থ দিয়ে বর্তমানে তিনি ১০টি গাভীর মালিক। প্রতিদিন দেশীয় জাতের গাভী থেকে প্রাপ্ত ৬ লিটার দুধ বিক্রি করছেন।
প্রকল্প সমিতির সদস্য আফসানা বেগম বলেন, ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ থেকে তিনি যে উপকার পেয়েছেন তা বলার মত নয়। ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে গেলে বিভিন্ন কাগজপত্র, সুদ দিতে হয়। আর সেখান থেকে তিনি সহজ শর্তে দু’দফায় ৪৫ হাজার ঋণ নিয়েছেন। সরকারের এ প্রকল্পটির কথা যদি আরও আগে জানতাম তাহলে আরো আগেই বেশি উপকৃত হতাম।
এবিষয়ে জেলার সমন্বয়কারী তানিয়া আক্তার জানান, বিদ্যমান সমিতিগুলোর মনিটরিংসহ প্রকল্পের পরিধি বাড়াতে কাজ করছি আমরা। এ প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে দরিদ্র্য জনগোষ্ঠীর পারিবারিক পর্যায়ের দারিদ্র্যতা নির্মূল হবে। উপজেলায় এ প্রকল্প এবং পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক কার্যক্রম চলছে। এর আওতায় প্রতিটি পরিবার অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে।
এব্যাপারে জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান জানান, সঠিক প্রকল্প গ্রহণ, অক্লান্ত প্রচেষ্টা, সঠিক উপকারভোগী নির্বাচন, আর্থিক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার কারণে তেমন কোনও অনিয়ন ও দুর্নীতি না থাকায় প্রকল্পটি ভালো করেছে। এছাড়া যে ব্যক্তি যে কাজে উপযোগী তাদের সেই ধরনের কাজ দেওয়া এবং উৎসাহ দেওয়াসহ আয়বর্ধন কাজে নিয়োগ করার মাধ্যমে ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ প্রকল্পটি সফলতার মুখ দেখছে।
বাসস/সংবাদদাতা/১২২৫/কেজিএ