দেশ করোনামুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জনগণের পাশে থাকবে

488

ঢাকা, ৫ জুলাই, ২০২০ (বাসস) : বাংলাদেশ করোনামুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সব পর্যায়ের নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিরা জনগণের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। তারা বলেন, যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জনগণের পাশে আছেন এবং থাকবেন।
গতকাল শনিবার রাতে করোনাকালীন সংকট নিয়ে বিশেষ ওয়েবিনার ‘বিয়ন্ড দ্যা প্যানডেমিক’ এর নবম পর্বে ‘করোনা সংকট মোকাবিলায় তৃণমূলের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনায় তারা এ কথা বলেন।
এছোড়াও এবারের পর্বে করোনা সঙ্কটে মানুষকে সচেতন করতে আওয়ামী লীগের পদক্ষেপ, করোনা চিকিৎসা নিয়ে গুজব মোকাবেলা, দলের জনপ্রতিনিধিদের জন্য আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বার্তা, ঘূর্ণিঝড় আম্পান পূর্বাভাস পাওয়ার পর ক্ষয়ক্ষতি কমাতে কি ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল এবং পরবর্তীতে কর্মহীনদের সহায়তা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
বরাবরের মতোই পর্বটি সরাসরি প্রচারিত হয় আওয়ামী লীগের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ এবং অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে একই সঙ্গে দেখা যায় বিজয় টিভির পর্দায় এবং বিডি নিউজ, সমকাল, ইত্তেফাক, ভোরের কাগজ, বাংলা নিউজ, যুগান্তর, জাগো নিউজ ২৪, বার্তা ২৪ ও সারা বাংলার ফেসবুক পেজে।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার শাহ আলী ফরহাদ সঞ্চালনায় আলোচক হিসেবে যুক্ত হন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ. ফ. ম. বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, ভোলা- ৪ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, কক্সবাজার- ২ আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, খুলনা- ৬ আসনের সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু এবং কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি।
আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রকোপ শুরুর পর থেকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা এবং তৃনমূলের নেতা-কর্মীদের সমন্বয় করে রিলিফ কার্যক্রম কমিটি গঠন, রিলিফ প্রদানে সক্রিয় অংশগ্রহন করে আওয়ামী লীগ। সাধারন মানুষকে সচেতন করা থেকে শুরু করে, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা কার্পন্য করেনি। আওয়ামী লীগের দুর্দিনের নেতা-কর্মীরা মৃত্যুভয়কে উপেক্ষা করে রিলিফ কার্যক্রম এখন পর্যন্ত পরিচালনা করছেন।
তিনি বলেন, দেশ ও দলের দুর্দিনে আওয়ামী লীগের তৃনমূল কর্মীরা বারবার ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছেন। সমগ্র আন্দোলন সংগ্রামে আমাদের এই দুর্দিনের নেতা কর্মীরাই সবার আগে এগিয়ে এসেছেন এবং আমাদের দলীয় জনপ্রতিনিধিরা তৃনমূলের নেতা কর্মীদের সাথে সমন্বয় করে জনগণের পাশে থেকেছে, এখনও আছে। করোনামুক্ত বাংলাদেশ হওয়ার আগ পর্যন্ত আমাদের তৃনমূলের নেতা কর্মীরা ও জনপ্রতিনিধিরা যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য জনগণের পাশে আছে এবং থাকবে।
অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন বলেন, আমাদের তৃনমূলের নেতা কর্মীরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্য সহায়তা পৌছে দিয়েছে এবং এখনও দিচ্ছে। এছাড়া আমাদের সকল স্তরের জনপ্রতিনিধিরা নিজস্ব এলাকায় সরকারি ও ব্যক্তিগর উদ্যোগ মিলিয়ে মানুষের পাশে থেকেছে। আমরা কেন্দ্র থেকে সবকিছু সার্বক্ষনিক মনিটরিং করছি।
আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত সুনিপুণ নেতৃত্বে করোনা ভাইরাস মোকাবেলা করার জন্য যে ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করা প্রয়োজন ইতিমধ্যে তিনি সব গ্রহণ করেছেন।
আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি বলেন, আমরা অনেক দূর্যোগ দেখেছি, কিন্তু করোনার মত নতুন দুর্যোগ এই বারেই প্রথম। নতুন এই দুর্যোগ মোকাবিলায় আমরা একেবারে প্রস্তুত ছিলাম না, কিন্তু শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা কাজ করছি এই সংকট মোকাবিলায়। ঈদ সামনে রেখে আমরা কর্মহীন মানুষের বাড়ী বাড়ী খাদ্য ও ঈদ উপহার পৌঁছে দিয়েছি। আমি মনে করি দুর্যোগে আওয়ামী লীগের তৃনমূলের নেতাকর্মীরা মানুষের পাশে সব সময় ছিল, থাকবে।
এর আগে, বিয়ন্ড দ্যা প্যান্ডেমিকের আটটি পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। সর্বশেষ পর্বটি প্রচারিত হয়েছে গত ৩০ জুন। এই পর্বে আলোচকরা করোনা পরবর্তী বাংলাদেশের তরুণদের মধ্যে শিক্ষা ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য নতুন ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দিপু মনি এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী ছিলেন এই অনুষ্ঠানের অন্যতম আলোচক।