অসদুপায় বন্ধের লক্ষ্যে কম গ্যাপে পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠানে কাজ করছে শিক্ষা বোর্ড

900

ঢাকা, ২২ জুলাই, ২০১৮ (বাসস) : যে কোন অসদুপায় বন্ধের লক্ষে আগামী বছর থেকে কম সময়ের মধ্যে পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য কাজ করছে শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মুহাম্মদ জিয়াউল হক আজ বাসস’কে বলেন, ‘শিক্ষা ক্ষেত্রে অর্থবহ পরিবর্তন আনার জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন পেয়েছি। প্রধানমন্ত্রী পাবলিক পরীক্ষার সময় কমিয়ে আনার জন্য আমাদেরকে নির্দেশনা দিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার সময় এত গ্যাপ দেয়ার প্রয়োজন নেই। এতে পরীক্ষার্থীদের ভালো ফলাফল অর্জনের কোন নিশ্চয়তা দেয় না।’
জিয়াউল হক বলেন, ‘১৯৮০ ও ১৯৯০ এর দশকে পাবলিক পরীক্ষাসমূহ স্বল্প সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতো, যা যেকোন অসদুপায় বন্ধের সাহায্য করতো। আমরা এখন যথাসম্ভব কম সময়ের মধ্যে পাবলিক পরীক্ষাগুলো অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।’
তিনি বলেন, সরকার এখন ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-৪ বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন আধুনিক ও কার্যকর প্রক্রিয়া চালু করে শিক্ষার গুণগতমান বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। পরীক্ষার্থীদের মানসিক চাপ কমানোর জন্য পরীক্ষায় অপ্রয়োজনীয় গ্যাপ না রাখা জরুরি উল্লেখ করে জিয়াউল বলেন, পাবলিক পরীক্ষায় সময় কমিয়ে আনার উদ্যোগ শিক্ষা ক্ষেত্রের সর্বত্র গতি নিয়ে আসবে।
স্বল্প সময়ের মধ্যে পাবলিক পরীক্ষা গ্রহণে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা প্রসঙ্গে ক্যাম্পেইন ফর পপুলার এডুকেশনের (সিএএমপিই) নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, ‘শিক্ষা ক্ষেত্রে অসদুপায় কর্মকান্ড বন্ধে কম সময়ের মধ্যে পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠানের ব্যাপারে আমি সম্পূর্ণ একমত।’
শিক্ষাবিদগণ দীর্ঘদিন ধরে কম সময়ের মধ্যে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের সুপারিশ করে আসছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন সময় কম সময়ের মধ্যে পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য সুপারিশ করে আসছিলাম। কিন্তু সরকার আমাদের পরামর্শ শুনে নাই।’
রাশেদা বলেন, ‘কিছু অসৎ লোক পরীক্ষার গ্যাপের সময় অসদুপায় অবলম্বন করে, যার ফলে পরীক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট হয়। দীর্ঘ সময়ে পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় বলে কোচিং ব্যবসা সম্প্রসারিত হচ্ছে।
কম সময়ের মধ্যে পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠানের নির্দেশনা প্রশ্ন ফাঁস রোধ করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এর ফলে গুজব বন্ধেও সাহায্য করবে, যা প্রকৃতপক্ষে পরীক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করে ফেলে।’
কম সময়ের মধ্যে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের উদ্যোগে অভিভাবকদের উদ্বিগ্ন না হওয়ার আহ্বান জানান রাশেদা কে চৌধুরী। তিনি শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থীদেরসহ সবাইকে অল্প সময়ের মধ্যে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের বিষয়টি গ্রহণেরও আহ্বান জানান।
দীর্ঘদিন ধরে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলে তা পরীক্ষার্থীদের মানসিক চাপের মধ্যে থাকতে হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বল্প সময়ের মধ্যে পরীক্ষা শেষ হলে পরীক্ষার্থীরা তাতে দ্রুত চাপমুক্ত হবে।