কন্টেইনার জাহাজ ‘সারেরা’র আন্তর্জাতিক রুটে যাত্রা শুরু

490

চট্টগ্রাম, ২৩ জুন, ২০২০ (বাসস) : বাংলাদেশের পতাকাবাহী কন্টেইনার জাহাজ ‘সারেরা’ দশ বছর পর আজ তেরশ’ কনটেইনার নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে যাত্রা শুরু করেছে ।
আগামী ২৯ জুন আরেকটি কনটেইনার জাহাজ ‘সাহারে’ সমুদ্রপথে আন্তর্জাতিক রুটে যাত্রা করবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে কন্টেইনার জাহাজ ‘সারেরা’ চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে যাত্রা করে। এটি সিঙ্গাপুরের (পিএসএ) বন্দরে গিয়ে প্রথম নোঙ্গর করবে। এরপর মালেশিয়াতে যাবে ।
জানা গেছে, এরআগে বেসরকারি খাতে দু’টি দেশীয় প্রতিষ্ঠান এইচআরসি শিপিং কোম্পানি ও কিউসি কনটেইনার লাইন বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজে কনটেইনার পরিবহন করত। প্রতিষ্ঠান দু’টি ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৮ সালের মধ্যে এই ব্যবসায় যুক্ত হয়। এইচআরসির হাতে ১০টি ও কিউসির হাতে ৭টি জাহাজের মালিকানা ছিল। ২০০৭ সালে কিউসি ও ২০১০ সালে এইচআরসি এ ব্যবসা বন্ধ করে দেয়।
এরমধ্য দিয়ে দশ বছর পর বাংলাদেশি মালিকানাধীন কনটেইনারবাহী জাহাজের আন্তর্জাতিক সমুদ্রপথে পুনরায় যাত্রা শুরু হয়েছে । লাল সবুজের পাতাকা নিয়ে প্রায় ১৮৫ মিটার দীর্ঘ জাহাজ ‘সারেরা’ চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল থেকে আজ সকাল ১১টার দিকে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে।
কর্ণফুলী গ্রুপের এইচআর লাইনস লিমিটেড’র মালিকানাধীন দু’টি কনটেইনার জাহাজ ‘সারেরা’ ও ‘সাহারে’ চট্টগ্রাম থেকে সিঙ্গাপুর হয়ে মালয়েশিয়ার পোর্ট কেলাং বন্দরে যাবে।
এ বিষয়ে কর্ণফুলী গ্রুপের পরিচালক হামদান হোসেন চৌধুরী বলেন, ১ হাজার ৩শ’ কনটেইনার ভর্তি রপ্তানি পণ্য নিয়ে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে সারেরা জাহাজটি। এরমধ্য দিয়ে আন্তর্জতিক সমুদ্র পরিবহন ব্যবসায় বাংলদেশের ভাবমুর্তি উজ্জ্বল হবে। আগামী ২৯ জুন তাদের আরেকটি জাহাজ ‘সাহারে’ চট্টগ্রাম থেকে যাত্রা শুরু করবে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, সারেরা চট্টগ্রাম বন্দরের জেটি থেকে কনটেইনার বোঝাই শুরু করে গত রোববার সকাল থেকে। এতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানিকারক, দেশি-বিদেশি শিপিং লাইন এবং সংশ্লিষ্ট সকল সেক্টর সহযোগিতা করেছে।
সূত্রমতে, ‘সারেরা’ ও ‘সাহারে’ জাহাজ দু’টি চট্টগ্রাম থেকে সিঙ্গাপুর হয়ে মালয়েশিয়ার পোর্ট কেলাং বন্দরে কনটেইনার পরিবহন করবে। ফিরতি পথে আমদানি পণ্যবাহী কনটেইনার নিয়ে আসবে । এই সেবার নাম দেওয়া হয়েছে ‘বাংলাদেশ এক্সপ্রেস সার্ভিস’।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বাংলাদেশে গভীর সমুদ্র বন্দর না থাকায় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে বড় কনটেইনারবাহী জাহাজ ভিড়তে পারেনা। ফলে আন্তর্জাতিক রুটে কনটেইনারবাহী পণ্য পরিবহনের জন্য ছোট জাহাজের উপর নির্ভর করতে হয়। এসব জাহাজে করে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কনটেইনারবাহী পণ্য নিয়ে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, চীনসহ বিভিন্ন দেশের বন্দরে ট্রানজিট সুবিধায় রপ্তানি পণ্য নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছানো হয়। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা ও চীনের বন্দরগুলোতে বিদেশি ২২টি ফিডার অপারেটর ৮৪টি কনটেইনার জাহাজের মাধ্যমে ট্রানজিট রুটে পণ্য পরিবহন করা হয়।