বাসস দেশ-৩৩ : সংস্কৃতি খাতে ডিজিটাল প্রযুক্তি-ব্যবহারের সক্ষমতা বাড়াতে হবে : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

351

বাসস দেশ-৩৩
আইসেস্কো – বিশেষ ভার্চুয়াল কনফারেন্স
সংস্কৃতি খাতে ডিজিটাল প্রযুক্তি-ব্যবহারের সক্ষমতা বাড়াতে হবে : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা,১৭ জুন,২০২০(বাসস) : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ করোনা ভাইরাসজনিত (কভিড-১৯) বৈশ্বিক মহামারির প্রেক্ষাপটে সংস্কৃতি খাতের টিকে থাকার স্বার্থে এ খাতে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের সক্ষমতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘সংস্কৃতি খাতকে টিকিয়ে রাখতে আমরা বিভিন্ন সাহিত্য ও শৈল্পিক সৃজনশীলতা ভিত্তিক কিছু প্রকল্প নেয়ার চিন্তা-ভাবনা করছি। সম্ভাব্য অংশীজনদের নিয়ে ডিজিটাল নেটওয়ার্কিং তৈরি এবং ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের সামর্থ্য বৃদ্ধির চেষ্টা করছি।’
এ জন্য আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে কে এম খালিদ বলেন, এ ক্ষেত্রে ইউনেস্কো ও আইসেস্কো সহযোগিতার হাত সম্প্রসারিত করতে পারে।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন,‘আমাদের প্রচেষ্টাকে একীভূতকরণের জন্য আন্ত:রাষ্ট্রীয় সংলাপের সূচনা করা উচিত। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ সংকট মোকাবেলা করার মাধ্যমে আমাদের সাংস্কৃতিক ও সৃজনশীল খাতকে পুনরুদ্ধারের এখনই উপযুক্ত সময়।’
কে এম খালিদ আজ বুধবার ‘সংস্কৃতি খাতে করোনার (কোভিড-১৯ সংকট) নেতিবাচক প্রভাব নিরসনকল্পে টেকসই সাংস্কৃতিক কর্মপরিকল্পনা’ শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক বিশেষ ভার্চুয়াল কনফারেন্সে বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন।
ওআইসি’র সদস্যভুক্ত দেশগুলোর সংগঠন ‘ইসলামিক ওয়ার্ল্ড এডুকেশনাল,সায়েন্স এন্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন (আইসেস্কো) ওআইসি’র সদস্যভুক্ত দেশগুলোর সংস্কৃতি মন্ত্রীদের অংশগ্রহণে এ বিশেষ ভার্চুয়াল কনফারেন্সের আয়োজন করে।
কে এম খালিদ বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বেইলি রোডস্থ ‘মিনিস্টার্স অ্যাপার্টমেন্টের’ নিজ বাসভবন থেকে কেশন ‘জুম’ অন-লাইন অ্যাপের মাধ্যমে এ ভার্চুয়াল কনফারেন্সে যুক্ত হন।
আইসেস্কো নির্ধারিত তিন মিনিটের বক্তব্যের শুরুতে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী ‘কোভিড-১৯’র বৈশ্বিক মহামারিকালীন সময়ে সংস্কৃতি খাতে বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় আইসেস্কো’র সদস্যভুক্ত দেশসগুলোর সংস্কৃতি মন্ত্রীদের অংশগ্রহণে সময়োচিত বিশেষ ভার্চুয়াল সম্মেলন আয়োজনের জন্য আইসেস্কোকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, নভেল করোনাভাইরাস সারাবিশ্বের রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতির বিভিন্ন সেক্টরে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা সংকট মোকাবিলা ও এর তাৎক্ষণিক প্রভাব নিরসনে ইতোমধ্যে মোট দেশজ উৎপাদনের শতকরা ৩ দশমিক ৭ ভাগের সমতুল্য প্রায় ১২ দশমিক ১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের একগুচ্ছ (১৯টি) আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। যেখান থেকে ক্ষতিগ্রস্ত বেশ কিছু সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ও প্রান্তিক শিল্পীদের উপকৃত হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী এ সময় উল্লেখ করেন,ইতোমধ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন তহবিল হতে ক্ষতিগ্রস্ত সাংস্কৃতিক সংঘ, প্রতিষ্ঠান এবং শিল্পীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে।
কে এম খালিদ বলেন,এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সম্পদ আহরণ এবং সুবিন্যস্ত কর্মকাঠামো তৈরি করা,যা এ সংকটে বিশেষ করে সংস্কৃতি খাতে করোনার বিরূপ প্রভাব নিরসনে সহায়তা করবে।
করোনা সংকটকালিন সময়ে লাইভ স্ট্রিমিং পারফরম্যান্স এবং ডিজিটাল কালচারাল ট্যুরিজমের মাধ্যমে ঐতিহ্যবাহী শিল্পকলা টিকে থাকবে-এ আশাবাদ ব্যক্ত করে প্রতিমন্ত্রী বলেন,ডিজিটাল কালচারাল ট্যুরিজমের প্রসারে প্রতœতাত্ত্বিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যগত স্থাপনা এবং জাদুঘরগুলোতে ভার্চুয়াল পরিদর্শন চালুর চিন্তাভাবনা করা যেতে পারে।
কে এম খালিদ ভার্চুয়াল পরিদর্শন বাস্তবায়নে সংস্কৃতি খাতে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি নতুন প্রযুক্তি ও প্রযুক্তিগত চর্চার সমর্থন এবং ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি ও ছড়িয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহায়তা করার ওপর জোর দেন।
এ কনফারেন্সে আইসেস্কো’র সদস্যভুক্ত ৫৪টি দেশের সংস্কৃতি মন্ত্রীরা অংশগ্রহণ করেন।
বাসস/সবি/জেডআরএম/২২০০/স্বব