বেইজিংয়ে নতুন করে আরো ৩১ জন করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় সেখানের ফের স্কুল বন্ধ

471

বেইজিং, ১৭ জুন, ২০২০ (বাসস ডেস্ক): বেইজিংয়ে করোনাভাইরাসে নতুন করে আরো ৩১ জন আক্রান্ত হওয়ায় এ খানে সব স্কুল বুধবার ফের বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একটি পাইকারি খাদ্য বাজারের পাশের আবাসিক এলাকায় নতুন করে গুচ্ছ সংক্রমণ দেখা দেয়ায় তা রোধে কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ জোরদার করেছে। খবর এএফপি’র।
চীনের অভ্যন্তরে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ব্যাপকভাবে নিয়ন্ত্রণে আসলেও এক্ষেত্রে নতুন করে করোনার সংক্রমন দেখা দেয়ায় দেশটিতে দ্বিতীয় পর্যায়ে কোভিড-১৯ ভাইরাস বিস্তারের আশংকা করা হচ্ছে। গত সপ্তাহে রাজধানীতে এ ভাইরাসের গুচ্ছ সংক্রমণ সনাক্ত করা হয়।
নগর কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার নগরীর ‘মধ্যম বা উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ’ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের জন্য ভ্রমণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এছাড়া রাজধানী ছাড়ার ক্ষেত্রে অন্য বাসিন্দাদের নিউক্লিক এসিড টেস্ট করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিকে সেখানে ফের সকল স্কুল বন্ধ ঘোষণা করে আবারো অনলাইনে ক্লাস নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। লকডাউন তুলে নেয়ায় বেইজিংয়ের প্রায় সব স্কুল ইতোমধ্যে খুলে দেয়া হয়েছিল।
মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বেইজিং নগরীর মুখপাত্র ঝু হেজিয়ান সতর্ক করে বলেন, ‘রাজধানীর মহামারি পরিস্থিতি অত্যন্ত নাজুক।’ নগর কর্মকর্তারা বেইজিংয়ের প্রায় ৩০টি আবাসিক এলাকা লকডাউন এবং তারা হাজার হাজার লোকের কোভিড-১৯ ভাইরাস পরীক্ষা করেছে।
নগরীর সকল ইনডোর স্পর্টস ও বিনোদন কেন্দ্র সোমবার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
চীনের আরো অনেক নগরী বেইজিং সফর করা থেকে বিরত থাকতে বাসিন্দাদের সতর্ক করে দিয়েছে এবং জরুরি কারণে বেইজিং সফর করা ব্যক্তিদের কায়ারেন্টিনে থাকার কথা বলেছে।
চীনের কর্মকর্তারা জানান, চীনে দ্বিতীয় ধাপের সংক্রমণের ক্ষেত্রে এ পর্যন্ত যারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে তাদের প্রায় সকলের জিনফাদি খাদ্য বাজারের সাথে কোন না কোন যোগসূত্র রয়েছে। গত ৩০ মে থেকে প্রায় ২ লাখ মানুষ বাজারটিতে গিয়েছে।
এ বাজরের ৮ জাহারেরও বেশি কর্মীর ইতোমধ্যে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করে তাদেরকে কেন্দ্রীয়ভাবে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
নগরীর স্বাস্থ্য কমিশন জানায়, গত ৬ দিনে চীনের রাজধানীতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে মোট ১৩৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
গত বছরের শেষের দিকে চীনের মধ্যাঞ্চলীয় উহান নগরীতে প্রথম এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। দেশটিতে মধ্য ফেব্রুয়ারিতে করোনাভাইরাসের চরম থাবা লক্ষ্য করা গেলেও এর পর থেকে সেখানে নাটকীয়ভাবে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা হ্রাস পেতে থাকে। ফলে চীনে ভাইরাসটি ব্যাপকভাবে নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে বলেও মনে করা হচ্ছিল।