বাসস প্রধানমন্ত্রী-৩ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি) : খাদ্য নিরাপত্তা ও পরিবেশ রক্ষায় বেশি করে গাছ লাগান : প্রধানমন্ত্রী

362

বাসস প্রধানমন্ত্রী-৩ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি)
শেখ হাসিনা-বৃক্ষরোপণ
খাদ্য নিরাপত্তা ও পরিবেশ রক্ষায় বেশি করে গাছ লাগান : প্রধানমন্ত্রী

’৯৬ সালে সরকারে এসে প্রথম গবেষণার জন্য ‘থোক’ বরাদ্দ প্্রদানের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এর আগে গবেষণার জন্য আমাদের একটি টাকাও বরাদ্দ ছিলনা। তখন এই কৃষি গবেষণাকে আমরা বেশি গুরুত্ব দিয়ে বিশেষ বরাদ্দও দিয়েছি।’
তিনি বলেন,‘গবেষণার ফলেই আজ আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে পেরেছি। বিভিন্ন প্রকার ফল আজ বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে চাষ হচ্ছে। মানুষ এখন প্রচুর ফল খাচ্ছে। এমনকি আমাদের দেশের ফল বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। বন্যা, খরা ও লবণ সহিষ্ণু ধানও উৎপাদন হচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী শুধু গাছ লাগানোই নয়, গাছের যতœ নেয়ার ওপরও বিশেষ গুরুত্বরোপ করেন।
তিনি বলেন, ‘শুধু গাছ লাগালেই হবে না, নিজের সন্তানকে যেমন লালনপালন করতে হয়, একটা গাছ লাগালে তাকেও কিন্তু যতœ করতে হবে, লালনপালন করতে হবে। তাহলেই তো সে ফল দেবে।’
বৃক্ষরোপনকে আরো উৎসাহিত করতে দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন,‘আমি মাঝে মধ্যে খবর নিব, কে কয়টি গাছ লাগিয়েছে এবং কার গাছের কি অবস্থা।’
জাতির পিতা নিজে, দলীয় এবং সরকারি উদ্যোগে ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপণ করার কর্মসূচী বাস্তবায়ন করেছিলেন বলে উল্লেখ করে ’৭৫ পরবর্তী সরকারগুলোর বিশেষকরে জিয়াউর রহমান সরকার এবং বিএনপি-জামাত জোট সরকারের বৃক্ষ নিধনের কঠোর সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন,‘ কক্সবাজার সমুদ্র উপকুলে যে ঝাউগাছের অপরূপ সৌন্দর্য আজ আমাদের বিমোহিত করে এবং সেই সঙ্গে উপকূলকে রক্ষা করে যাচ্ছে তা স্বাধীনতা উত্তর জাতির পিতার বিশেষ উদ্যোগে রোপণ করা হয়েছিল।’
তিনি বলেন,‘কিভাবে দেশের মানুষকে উন্নত জীবন দেব সেটা যেমন জাতির পিতা বলে গেছেন তেমনি কিভাবে এদেশের প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা হবে, সেসব বিষয়েই তাঁর কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেছি।’
‘আমাদের এই ব-দ্বীপকে বাঁচাতে হলে ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপনের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ দুর্ভাগ্য হলো ’৭৫ পরবর্তী সরকারগুলো ঢাকার রাজপথে যেসব গাছ ছিল তার অধিকাংশই কেটে ফেলেছিল, যা আজকের প্রজন্মের অনেকেরই অজানা।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তেঁজগাও এয়ারপোর্ট থেকে নিয়ে একেবারে বাংলা একাডেমী পর্যন্ত সবুজ আইল্যান্ডে কৃষ্ণচুঁড়া গাছ ছিল। যখন ফুল ফুটতো অপূর্ব একটা রুপ ধারণ করতো। বিভিন্ন জায়গায় বিশাল বিশাল গাছ ছিল। প্রতিটি জায়গায় গাছে গাছে ভরা সবুজ ছিল এই ঢাকার শহর।’
তিনি বলেন, ‘কিন্তু যখনই জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি হলো তেঁজগাঁও থেকে বাংলা একাডেমী পর্যন্ত সব গাছ কেটে ফেলে দিল। তাঁর কোন একটা ভিতী ছিল সেই জন্য। এভাবেই সারা বাংলাদেশে প্রচুর বৃক্ষ নিধন হয়েছে।’
২০১৪ সালে বিএনপি-জামায়াত জোঠ আন্দোলনের নামে জ¦ালাও-পোড়াও ধ্বংসযজ্ঞ এবং মানুষকে পুড়িয়ে হত্যার মধ্যে ঢাকাসহ সারা দেশে হাজার হাজার বৃক্ষ নিধনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি আরো বলেন, ‘আমরা বৃক্ষ রোপন করি, তারা করতো নিধন।’
করোনাভাইরাসকে পরিবেশ দূষণ থেকে বিশ^ ব্রন্মান্ডের ভারসাম্য রক্ষায় প্রকৃতির বিচিত্র খেয়াল বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘সব খারাপের মধ্যে ভাল কিছু সিগনালও আমরা পাচ্ছি, এটা হচ্ছে বাস্তবতা। দূষণ কম হওয়ায় ওজন স্তর ক্ষয় হ্রাস পেয়েছে, বৃক্ষরাজি ফুলে ফলে ভরে উঠেছে।’
তিনি বলেন, ‘তবে, আমরা কখনোই চাই না এই ভাইরাসে মানুষ মারা যাক বা ক্ষতিগ্রস্থ হোক। আমরা চাই এর হাত থেকে সকলে যেন রক্ষা পায়।’
বাসস/এএসজি-এফএন/২২৩২/এবিএইচ