বাসস দেশ-৪১ : ভাতা নির্ভর বাজেট দিয়ে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মানবসম্পদে পরিণত করা সম্ভব নয়

340

বাসস দেশ-৪১
বাজেট-সেমিনার
ভাতা নির্ভর বাজেট দিয়ে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মানবসম্পদে পরিণত করা সম্ভব নয়
ঢাকা, ১৪ জুন, ২০২০ (বাসস) : অ্যাকসেস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন এর আয়োজনে “জাতীয় বাজেট ২০২০-২১: প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অবস্থান” শীর্ষক সেমিনারে বক্তাগণ বলেছেন, ভাতা নির্ভর বাজেট দিয়ে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মানবসম্পদে পরিণত করা সম্ভব নয়।
সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আলবার্ট মোল্লা’র সঞ্চালনায় রোববার “জাতীয় বাজেট ২০২০-২১: প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অবস্থান” শীর্ষক ভার্চুয়াল বাজেট পরবর্তী প্রতিক্রিয়া সভার বক্তারা একথা বলেন।
বাজেট প্রতিক্রিয়াটি যৌথভাবে অ্যাকসেস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন, গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলন, সেন্টার অন বাজেট এন্ড পলিসি-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, ইউকেএইড, ডিজএবিলিটি রাইটস ফান্ড এবং ৫টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সংগঠন-ডিসিএফ, এনসিডিডাব্লিউ, সীতাকুন্ড ফেডারেশন, টার্নিং পয়েন্ট ও ডাব্লিউডিডিএফ এর আয়োজনে এই প্রতিক্রিয়া সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় বাজেট ২০২০-২১ এর উপর বিশ্লেষণ উপস্থাপন করেন অ্যাকসেস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন এর নির্বাহী পরিচালক।
তিনি ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ভাতাভোগীর সংখ্যা ২ লাখ ৫৫ হাজার বৃদ্ধি করায় অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, বাজেট বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য বরাদ্দ মূলত সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় রাখা হয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী খাতের বাজেট মোট বাজেটের ১৬.৮৩% এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বাজেট সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর খাতের বাজেটের ১.৯৬%, (গত বছর ২.১৯%), যা মোট বাজেটের মাত্র ০.৩৩% (গত বছর ০.৩১%)।
দেশে ৯০% প্রতিবন্ধী শিশু স্কুলে ভর্তি হওয়া থেকে বঞ্চিত হলেও এ বছর উপকারভোগীর সংখ্যাও বাজেট পূর্বের মতো রাখা হয়েছে।
সভায় অংশগ্রহণকারী বক্তারা প্রস্তাবিত বাজেটে কিছু দাবি পুনর্বিবেচনার জন্য সুপারিশ করা হয়। যার মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হলো, সকল অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পরিবারের জন্য খাদ্য নিরাপত্তার আওতায় আগামী ৯ থেকে ১২ মাসের খাদ্য রেশনের ব্যবস্থা করা, জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল অনুযায়ী অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ভাতা- জনপ্রতি মাসিক ন্যূনতম ১৫০০ টাকায় উন্নীত করা, বেকার প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বাজেট বরাদ্দ রাখা, সকল প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জন্য বিশেষ বীমা কার্যক্রমের উদ্যোগ গ্রহণ করা, তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক দক্ষতা উন্নয়নের জন্য অ্যাসেসটিভ টেকনোলজি সাপোর্ট ফান্ড, অ্যাকসেসিবল বুকস এন্ড টেকনোলজি ফান্ড গঠন, তথ্যগত প্রবেশগম্যতার নিশ্চয়তা, কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বাজেট বরাদ্দ, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের জন্য মন্ত্রণালয়ভিত্তিক বাজেট বরাদ্দ।
আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে অংশগ্রহণ করেন বেসরকারি সংস্থা, আন্তর্জাতিক সংস্থার দেশস্থ প্রতিনিধিবৃন্দ, সাংবাদিক, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, সুশীল সমাজ, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ, ঢাকার বাইরে যেমন-রংপুর, চট্টগ্রাম ও দিনাজপুরের প্রতিনিধিবৃন্দ।
বাসস/সবি/কেকে/২০৫৪/-কেএআর