পায়রা প্রথম ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে ২০১৯ সালের জুনে

788

ঢাকা, ২ এপ্রিল, ২০১৮ (বাসস) : পায়রা ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন অত্যাধুনিক কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের উৎপাদন ২০১৯ সালের জুনের মধ্যে শুরু হবে।
পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হোসেন আজ বাসস’কে বলেন, এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি হবে পরিবেশ বান্ধব। এতে স্বচ্ছ কয়লা, (ক্লিন কোল) ব্যবহৃত হবে। এই প্লান্ট দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
তিনি বলেন, ৬৬০ মেগাওয়াটের দ্বিতীয় ইউনিটের উৎপাদন ও ২০২০ সালের মধ্যে শুরু হবে। এতে এই কেন্দ্রের মোট উৎপাদন ক্ষমতা হবে ১৩২০ মেগাওয়াট।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চীনের বিদ্যুৎ কোম্পানি সিএমসি এবং বাংলাদেশের নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেডের (এনডাব্লিউপিজিসিএল) যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিসিপিসিএল) প্রায় ২ বিলিয়ন টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
তিনি বলেন, সরকার এই অঞ্চলের পরিবেশ, জনবসতি ও জীববৈচিত্র্যের সুরক্ষায় সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। গভীর সাগর থেকে আচ্ছাদিত বার্জে কয়লা প্লান্টে নেয়া হবে।
এর আগে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এই প্রকল্পের নির্মাণ কাজ দেখে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন যে, ‘আমি এই প্রকল্পের দ্রুত নির্মাণ কাজে অত্যন্ত আনন্দিত।’
তিনি বলেন, সরকার বর্তমানে পটুয়াখালির পায়রা এবং কক্সবাজারের মহেশখালি ও মাতারবাড়ীতে ৩টি বড় ধরনের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছে। এসব কেন্দ্রে কয়েকটি কয়লা ও এলএনজি ভিত্তিক প্লান্ট তৈরি হবে।
নসরুল হামিদ বলেন, পায়রায় পরিবেশের সম্ভাব্য ক্ষতি প্রতিরোধে ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এছাড়া ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট, ২০৩০ সালের মধ্য ৪০ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে দেশব্যাপী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
২০১৪ সালে ১৯ মাচৃ এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও চীনের দুই কোম্পানির মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ক্রয় ও নির্মাণ চুক্তি হয় ২০১৬ সালের ২৯ মার্চ।