ফ্লয়েড হত্যা : পুলিশের বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগকে স্বাগত জানালেও রাস্তায় থাকার ঘোষণা বিক্ষোভকারীদের

328

মিনেপোলিস, ৪ জুন, ২০২০(বাসস ডেস্ক) : যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভকারীরা বুধবার মিনেপোলিসের পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আনা নতুন অভিযোগকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে তারা রাস্তায় তাদের বিক্ষোভ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে।
গত ২৫ মে মিনেপোলিসে শেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তার হাতে জর্জ ফ্লয়েড(৪৬) নামের নিরস্ত্র এক কৃষাঙ্গ প্রাণ হারালে তা নিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। হত্যাকান্ডের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিক্ষোভ তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে ওঠে।
মিনেপোলিসের পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক চওভিন (৪৪) ফ্লয়েডের গলায় নয় মিনিট হাঁটু চেপে ধরে রাখে। এতে ফ্লয়েড দমবন্ধ হয়ে মারা যায়। চওভিনের বিরুদ্ধে প্রথমে ৩য় মাত্রার খুনের অভিযোগ আনা
হয়েছিল।
কিন্তু বুধবার মিনেসোটার কৌঁসুলিরা ঘোষণা করেন, তারা চওভিনের বিরুদ্ধে আরো এক মাত্রা বাড়িয়ে ২য় মাত্রার খুনের অভিযোগ এনেছেন।
এছাড়া হত্যাকান্ডে সহযোগিতা ও মদদ দেয়ার অভিযোগে অপর তিন পুলিশ কর্মকর্তা তাও থাও(৩৪), আলেকজান্ডার কুয়েঙ(২৬) এবং থমাস লেনকে(৩৭) গ্রেফতার করে পুলিশি হেফাজতে নেয়া
হয়েছে।
এদিকে কারফিউ উপেক্ষা করে হাজার হাজার লোক নবম দিনের মতো তাদের বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে। তারা নিউইয়র্ক থেকে লস অ্যাঞ্জেলেস পর্যন্ত শহরগুলোতে ব্যাপক পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছে। তাদের এ দাবির প্রতি সংহতি জানিয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
তিনি বলেছেন, এই বিক্ষোভ যুক্তরাষ্ট্রের কাঠামোগত বর্ণবাদের বিরুদ্ধে একটি শান্তিপূর্ণ ও কার্যকর পদক্ষেপে পরিণত হতে পারে। সত্যিকার সুযোগ আনতে এই মুহূর্তকে টানির্ং পয়েন্ট হিসেবে পরিণত করতে দেশবাসীর প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
এদিকে বিক্ষোভকারীদের প্রতি কঠোর অবস্থান বজায় রেখেছেন ট্রাম্প। বুধবার তিনি বলেছেন, আমাদের আইন শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার দরকার।
তিনি বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তারা অনেক খারাপ লোককে অন্তর্ভূক্ত করেছে। ট্রাম্প গভর্ণরদের প্রতি কঠোর পদক্ষেপ নেয়ারও আহ্বান জানান। তবে ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের সামনে বিক্ষোভের ফলে নিরাপত্তা শংকার কারণে বাংকারে আশ্রয় নেয়ার খবর অস্বীকার
করেছেন।
তিনি ফক্স নিউজ রেডিওকে বলেন, এটি একটি ভুয়া খবর।
নিউইয়র্ক টাইমস এর খবরে বলা হয়েছিল, গত শুক্রবার রাতে হেয়াইট হাউসের কাছে বিক্ষোভকালে সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আন্ডারগ্রাউন্ড বাংকারে নিয়ে যায়।