বাসস দেশ-৩৩ : তৃণমূলের কর্মীদের জীবনের ঝুঁকির বিনিময়ে সহায়তা পাচ্ছে মানুষ

360

বাসস দেশ-৩৩
আলোচনা- চতুর্থ পর্ব
তৃণমূলের কর্মীদের জীবনের ঝুঁকির বিনিময়ে সহায়তা পাচ্ছে মানুষ
ঢাকা, ৩ জুন, ২০২০ (বাসস) : আওয়ামী লীগের বিশেষ ওয়েবিনার বিয়ন্ড দ্যা প্যানডেমিকের চতুর্থ পর্ব অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, দলের তৃণমুলের নেতাকর্মীদের জীবনের ঝুঁকির বিনিময়েই করোনাভাইরাস সংকটের মধ্যে অসহায় খেটে খাওয়া মানুষেরা নিত্যপ্রয়োজনীয় সহায়তা পাচ্ছেন।
করোনা সংকটে নিয়ে বিশেষ ওয়েবিনার বিয়ন্ড দ্যা প্যানডেমিকের চতুর্থ পর্ব সরাসরি প্রচারিত হয়েছে গত ২ জুন মঙ্গলবার। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার শাহ আলি ফরহাদের পরিচালনায় এবারের পর্বে আলোচক ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফ এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, কিশোরগঞ্জ-১ এর সাংসদ ডাঃ সৈয়দা জাকিয়া নুর লিপি এবং ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা।
করোনা প্রতিরোধে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জনপ্রতিনিধিদের কর্মকান্ড মুল্যায়ন করতে গিয়ে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল-আলম হানিফ এমপি বলেন, করোনা প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর পরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের নীতি-নির্ধারণী ফোরামের সাথে আলোচনা করে জনপ্রতিনিধি, চিকিৎসক ও দেশবাসীকে কিছু নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, এই রোগ যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সে জন্যে সারাদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেন এবং সারা দেশে কর্মহীন প্রায় ৬ কোটি মানুষের মাঝে আওয়ামী লীগ সভাপতি খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। প্রতিটি এলাকার সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা যার যার জায়গা থেকে সাধারণ মানুষের পাশে এসে দাঁড়ায়।
ত্রাণ অনিয়মে কিছু স্থানীয় জনপ্রতিনিধির নাম এসেছে যাদের বরখাস্ত করার পাশাপাশি আইনানুগ ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে। কিন্তু দল হিসেবে আওয়ামী লীগের তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে এস. এম কামাল হোসেন বলেন, ৬১৫৭৯ জন জনপ্রতিনিধির মাঝে ৭২ জন জনপ্রতিনিধি ত্রাণে অনিয়ম করেছে। মাত্র ০.১৩ ভাগ জনপ্রতিনিধি এ অনিয়মের সাথে জড়িত ছিলো। স্থানীয় সরকার তাদেরকে যেমন বহিষ্কার করেছে তেমন আওয়ামী লীগ দল থেকেও তাদের বহিষ্কার করেছে।
সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজার কাছে শাহ আলী ফরহাদের প্রশ্ন ছিলো, গণমাধ্যমগুলো মানুষকে সচেতনতার চেয়ে আতংকিত করে তুলছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গণমাধ্যমের এখন দুটি প্রধান কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে- এক, সঠিক ও নির্ভুল তথ্য মানুষকে পৌছে দেয়া। দুই, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঠে আসা গুজব, মিথ্য তথ্যের ভিড়ে সঠিক সংবাদটি খুঁজে বের করা। ত্রাণে অনিয়মে যখন কোন স্থানীয় প্রতিনিধির শাস্তি হয় তখন এই সংবাদটা আলোচনায় আসে এবং এই সংবাদটি প্রকাশের জন্য প্রত্যন্ত অঞ্চলের কোন সাংবাদিকের নামে যখন মামলা হয় তখন সেটি ব্যাপক আকারে আলোচনায় আসে। আমার মনে হয় একশন-রিএকশনগুলো নিয়েও একটু ভাবনা চিন্তার ব্যাপার আছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোন ভিত্তিহীন সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে তা যাচাই করে আসতে আসতে যা ক্ষতি হওয়ার তা হয়ে যায় এক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিরা কি ভূমিকা রাখতে পারেন এমন প্রশ্নের জবাবে শাহরিয়ার আলম বলেন, অনেক জনপ্রতিনিধি নিজের টাকা দিয়ে চাল কিনে এনে বিতরণ করেছেন কিন্তু সরকারী চাল বলে অনেকের নামে অভিযোগ করা হলো। দুই একজন জনপ্রতিনিধি যে আত্মহত্যা করেননি এইটা আমার কাছে অবাক করা বিষয় মনে হয়। ত্রাণ বিতরণের প্রথম দিকে কিছু গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক দলের উস্কানিতে ৭০এর দশকে বঙ্গবন্ধুর সময়ের একটি ঘটনা পুনরাবৃত্তির অপচেষ্ঠা চালানো হয়েছিলো। তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের আত্মাহুতি দেয়ার মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ কার্যক্রমকে তারা সফলতায় পর্যবসিত করেছে।
সংসদ সদস্য ডা: সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি বলেন, ত্রান কার্যক্রম বিতরণ নিয়ে অনেক বয়োবৃদ্ধ মানুষ বলেছেন এতো সুন্দরভাবে ত্রাণ বিতরণ এর আগে তারা কখনোই দেখেননি। করোনা মোকাবেলার জন্ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাত্র ১০ দিনে ২০০০ ডাক্তার ও ৫০৫৪ জন নার্স নিয়োগ দিয়েছেন। আরো দুই হাজার ডাক্তার নিয়োগ দেয়া হবে। আরো ১২০০০ হাজার টেকেনশিয়ান নিয়োগ দেয়ার পথে। আমার মনে হয় না , পৃথিবীর আর কোন দেশেই এমনটা সম্ভব হয়েছে।
বাসস/সবি/কেসি/২২০০/এবিএইচ