বাসস দেশ-৩৭ : করোনা ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিং সম্পন্ন করেছে বিসিএসআইআর

341

বাসস দেশ-৩৭
করোনা-জিনোম
করোনা ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিং সম্পন্ন করেছে বিসিএসআইআর
ঢাকা, ৩০ মে, ২০২০ (বাসস) : করোনাভাইরাসের পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্সিং সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর)।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানের নির্দেশে বিসিএসআইআর-এর জিনোমিক রিসার্চ গবেষণাগারে তিনটি কোভিড-১৯ কেসের সম্পূর্ণ সিকোয়েন্সিং সফলতার সাথে সম্পন্ন হয়েছে।
গবেষক দলের দলনেতা প্রিন্সিপাল সায়েন্টিফিক অফিসার এবং প্রকল্প পরিচালক ড. মো. সেলিম খান বলেন, এনালাইসিসে বাংলাদেশের এই ভাইরাসটির সাথে সবচেয়ে বেশি মিল ৯৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ পাওয়া যায় ইউরোপিয়ান উৎস বিশেষ করে সুইডেনের সাথে।
তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য বিসিএসআইআরের ৩টিসহ বাংলাদেশে এ পর্যন্ত প্রাপ্ত সর্বমোট ২৩টি পূর্ণাঙ্গ সিকোয়েন্সিং ডাটা থেকে কোন সিদ্ধান্তে উপনিত হওয়া মোটেই যথেষ্ট নয়। উৎস, ক্লাস্টার, ট্রান্সমিশন ডাইনামিক্স, মলিকুলার ডেটিং, ভ্যাক্সিন ডিজাইনসহ অন্যান্য গবেষণা কাজ বেগবান করার জন্য এই মুহূর্তে প্রয়োজন বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় সনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাস ‘আইসোলেট’-এর আরও বেশি সিকোয়েন্সিং ডাটা।
প্রাপ্ত তথ্যাদি গ্লোবাল ডাটা ব্যাংক ‘গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফলয়েন্স ডাটা (জিআইএসএআইডি)-এ উপস্থাপন করা হয়েছে, যা ওই সংস্থা কর্তৃক গৃহিত ও প্রকাশিত হয়েছে। ডাটা এ্যানালাইসিসে এমাইনো এসিড লেভেলে মোট ৯ টি ভ্যারিয়ান্ট পাওয়া যায়। সিকোয়েন্সিং করার জন্য নমূনা সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ সরকারের আরেকটি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন এন্ড রেফারেল সেন্টার।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী এবং মন্ত্রণালয়ের সিনিয়ির সচিব বাংলাদেশের সম্ভাব্য সকল এলাকা থেকে নমূনা সংগ্রহ করে বিসিএসআইআর-এর জিনোমিক রিসার্চ গবেষণাগারে সিকোয়েন্সিং করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং সে অনুযায়ী বিসিএসআইআর-এর জিনোমিক রিসার্চ গবেষণাগারসহ ডিআরআইসিএম-এ কাজটি করে যাচ্ছে। এই কাজটি সম্পন্ন করা হলে একটি পূর্ণাঙ্গ ভিত্তির উপর গবেষণাটি প্রতিষ্ঠিত হবে। ফলে নভেল করোনা (কোভিড-১৯) ভাইরাসের প্রতিষেধক, ওষুধ ও টিকা আবিস্কারে সহায়তা করবে।
বাসস/সবি/এমএসএইচ/২১১৫/-এবিএইচ