বাজিস-৩ : নোয়াখালীতে নতুন ৪ জনসহ করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত ৩৫৬

142

বাজিস-৩
নোয়াখালী-করোনা-আক্রান্ত
নোয়াখালীতে নতুন ৪ জনসহ করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত ৩৫৬
নোয়াখালী, ২৪ মে, ২০২০ (বাসস) : জেলা সদরে ৩ জন ও সুবর্ণচর ১ জনসহ নতুন করে ৪ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫৬ জন।
আজ সিভিল সার্জন ডা. মোমিনুর রহমান বাসসকে বলেন, বেগমগঞ্জে ১৭৮ জন, কবিরহাটে ৫৪ জন, সদরে ৪৪ জন, চাটখিলে ২৬ জন, সোনাইমুড়ীতে ১৮ জন, সুবর্ণচর ১২, সেনবাগে ১১ জন, কোম্পানীগঞ্জ ৭ জন ও হাতিয়ায় ৬ জন সহ জেলায় মোট ৩৫৬ জনের করোনা শনাক্ত হলো। এর মধ্যে, বেগমগঞ্জে ৭ জন, সদরে ৭, চাটখিল ৫, সোনাইমুড়ি ৩ জন, হাতিয়ায় ৩ জন, কবিরহাট ১ জন ও কোম্পানীগঞ্জ ১ জনসহ মোট ২৯ জন আইসোলেশন থেকে করোনাকে জয় করে বাড়ি ফিরেছেন। সোনাইমুড়িতে ২ জন, বেগমগঞ্জে ৪ জন ও সেনবাগে ১ জনসহ মোট ৭ জন মারা গেছেন।
বর্তমানে বেগমগঞ্জে ১৬৯ জন, সদর উপজেলায় ৩৭ জন, কবিরহাটে ৫৩ জন এবং চাটখিলে ২১ জন, সোনাইমুড়ি ১৩ জন, হাতিয়ায় ৩ জন, কোম্পানীগঞ্জ ৬ জন, সেনবাগ ১০ জন ও সুবর্ণচর ১২ জন সহ ৩২০ জন শনাক্তকৃত রোগি রয়েছেন। এর মধ্যে, ৩০০ জন হোম আইসোলেশন ও ১৯ জন জেলা কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন। বয়স্ক ১ ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য ঢাকার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সর্বমোট ৩১৯ জন আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অসীম কুমার দাস বলেন, উপজেলায় ৪২ জনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে করোনা পজিটিভ আসে। তাদেরকে আপাতত হোম আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া, তাদের বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করে, তাদের সংস্পর্শে আসা অন্যান্যদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হবে। এছাড়া, ২০ মে বুধবার মারা যাওয়া চৌমুহনী পৌরসভার গণিপুর গ্রামের আমিনুল ইসলাম মিন্টু (৪৭) এর করোনা পজেটিভ এসেছে। তার বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করে, তার সংস্পর্শে আসা সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হচ্ছে।
সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, উপজেলায় ৩ জনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে করোনা পজেটিভ আসে। তাদেরকে আপাতত হোম আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া, তাদের বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করে, তাদের সংস্পর্শে আসা অন্যান্যদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হবে।
সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: শায়লা সুলতানা ঝুমা বলেন, উপজেলায় নতুন করে আরও ১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাদের বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করে তাদের হোম আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। উপজেলায় মোট আক্রান্ত ১২ জন।
উল্লেখ্য, জেলায় মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫৬ জন। যার মধ্যে জেলার বেগমগঞ্জে ১৭৮ জন, কবিরহাটে ৫৪ জন, সদরে ৪৪ জন, চাটখিলে ২৬ জন, সোনাইমুড়ীতে ১৮ জন, সুবর্ণচর ১২ জন, সেনবাগে ১১ জন, কোম্পানীগঞ্জ ৭ জন ও হাতিয়ায় ৬ জন। এদের মধ্যে, মারা যাওয়া ৭ জন হলেন, সোনাইমুড়ীর ইতালী প্রবাসী মোরশেদ আলম (৪৫) ও পৌরসভার রামপুর পূর্বপাড়া এলাকার ফখরুল ইসলাম (৬০), সেনবাগের রাজমিস্ত্রি মো: আলী আক্কাস (৪৫), বেগমগঞ্জের মো. তারেক (২৯) নামের এক ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ী, চৌমুহনী পৌরসভার গণিপুর গ্রামের আমিনুল ইসলাম মিন্টু (৪৭), কুতুবপুরের শহিদুর রহমান ও করিমপুরের বেলাল রহমান। এর মধ্যে, বেগমগঞ্জে ৭ জন, সদরে ৭, চাটখিল ৫, সোনাইমুড়ি ৩ জন, কবিরহাট ১ জন, হাতিয়ায় ৩ জন ও কোম্পানীগঞ্জ ১ জনসহ মোট ২৭ জন আইসোলেশনে থেকে করোনাকে জয় করে বাড়ি ফিরেছেন। তারা হলেন, সোনাইমুড়ি উপজেলার করোনায় মৃত ইতালি প্রবাসী মোরশেদ আলমের ৩ মাসের অন্তঃসত্বা স্ত্রী শারমীন আক্তার (৩০) সহ ৩ জন ও বেগমগঞ্জ চৌরাস্তা সংলগ্ন আপন নিবাসে বসবাসরত মা খতিজা বেগম (৬০), ছেলে আমজাদ হোসেন টিপু (৩২), পৌরসভার ব্যবসায়ী মো. দুলাল (৫৯) ও হাজী বেলাল (৫৫) সহ ৭ জন, সদরের জেনারেল হাসপাতালের ওয়ার্ডবয় মো. বেলাল (৩৭) ও নোয়ান্নই ইউনিয়নের নারায়ণগঞ্জ ফেরত জাবেদ হোসেন (২৫) ও বান্দেরহাটের মো. দুলাল (৫০) সহ ৭ জন, চাটখিলের ব্যবসায়ী আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী (৪৯) ও ওষওধ কোম্পানি একমি ল্যাবরেটরিজ এর মেডিক্যাল প্রমোশন অফিসার কুড়িগ্রামের এরশাদুল হক (২৮), চাটখিল পৌরসভার বেলায়েত হোসেন (৪০), তার ছেলে রায়হান বিন বেলায়েত (৯) সহ ৫ জন, কবিরহাট উপজেলায় প্রথম আক্রান্ত বাটইয়া ইউনিয়নের ২০ বছরের যুবক ইউসুফ আলী, হাতিয়ার ৩ জন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার রইচ উদ্দিন (৩৭), ইকবাল বাহার (২৮), বিমান কান্তি আচার্য (২৮) ও কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার জনতা ব্যাংকের গার্ড আবদুল মান্নান (৫৫)।
বাসস/সংবাদদাতা/১৫৪৫/কেজিএ