পিরোজপুরে আমন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা লক্ষাধিক টন

500

পিরোজপুর, ১৯ জুলাই, ২০১৮ (বাসস) : জেলায় চলতি আমন চাষ মোওসুমে ৬১ হাজার ৬৫৯ হেক্টরে চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সাথে আমন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে ১ লাখ ৪ হাজার ৯শ’ ৩৯ মেট্রিক টন। কৃষি মন্ত্রণালয়ের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জেলার ৭ উপজেলার প্রতিটির আমন চাষের ও আমন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। আমনের মধ্যে উফশী, হাইব্রিড ও স্থানীয় জাত রয়েছে এবং এ জেলার ৫২টি ইউনিয়ন ও ৪ পৌরসভায় একযোগে বীজতলা তৈরির কাজ চাষিরা চালিয়ে যাচ্ছে। এ পর্যন্ত সর্বকিছুই চাষিদের অনুকূলে রয়েছে বলে পিরোজপুর পৌর এলাকার আমন ধান চাষি রতন ঢালী জানান। পিরোজপুর সদর উপজেলায় আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ হাজার ৭০ হেক্টরে। চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ হাজার ৯শ’ ৮৯ মেট্রিক টন। অনুরূপভাবে ইন্দুরকানীতে ৫ হাজার ৩শ’ ৭০ হেক্টরে ৮ হাজার ৭শ’ ৬০ মেট্রিক টন, কাউখালীতে ৪ হাজার ৫শ’ হেক্টরে ৭ হাজার ৪৮ মে: টন, নেছারাবাদে ৬ হাজার ৬শ’ হেক্টরে ১০ হাজার ১শ’ ৫ মে: টন:, নাজিরপুরে ৬ হাজার ৭শ’ ৭৯ হেক্টরে ১৩ হাজার ১শ’ ৬৭ মে: টন, ভান্ডারিয়ায় ৮ হাজার ৮০ হেক্টরে ১২ হাজার ৩শ’ ৩৮ মে: টন এবং মঠবাড়িয়ায় ২০ হাজার ১শ’ ৯০ হেক্টরে ৩৭ হাজার ৫শ’ ৩২ মে:টন চাষের ও চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। পিরোজপুরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আবু হেনা মো: জাফর জানান, উন্নত মানের ধান, গম ও পাটবীজ উৎপাদন সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের আওতায় ১শ’ ৮০টি এবং বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের ক্ষুদ্র চাষিদের জন্য সহায়ক প্রকল্প এর আওতায় ৩২টি প্রদশর্নী প্লট তৈরি করা হবে। এসব প্লটের মধ্যে ১ একরের ১শ’ ৮০টি এবং ৫০ শতাংশের ৩২টি প্লট থাকবে। সরকার এসব প্রদশর্নী প্লটের জন্য বীজ, সার, ওষুধ বিনামূল্যে চাষিদের সহায়তা করবে। এছাড়া জেলার বিভিন্ন স্থানে ৩৭টি কৃষক প্রশিক্ষণ স্কুল পরিচালিত হচ্ছে। আমনের বীজ বপণ থেকে শুরু করে ধান মাড়াই পর্যন্ত এসব স্কুলের প্রত্যেকটিতে ৫০জন কৃষাণ কৃষাণী হাতে কলমে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছে। প্রতি সপ্তাহে ২ দিন আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদের উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদান করছে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মাষ্টার ট্রেনি এবং কৃষি, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ বিভাগের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা। কৃষাণ কৃষাণীদের সুবিধামত সময় এসমস্ত প্রশিক্ষণ ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে এবং এদের প্রতিদিন ৭০ টাকা প্রশিক্ষণ গ্রহণ ভাতা দেওয়া হবে। কৃষি সম্প্রসারণের জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা অরুন রায় জানান এ জেলায় ইতিমধ্যেই চাষে ৯০ ভাগ এবং ধান মাড়াইতে ৯৫ভাগ যান্ত্রিকীকরণ হয়েছে। খুব দ্রুতই শতভাগ কৃষক এসব পদ্ধতি ব্যবহার করবে। জেলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক আমন চাষিদের পরামর্শ দিচ্ছেন। সার বীজ সহজলভ্য হওয়ায় এবং এ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুূকূলে থাকায় চাষাবাদের এবং চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের আশা করছেন সংশ্লিষ্ট সকলেই।