বাসস দেশ-৪৩ : আম্ফানের ক্ষতি কমাতে চট্টগ্রাম বন্দরের সব জাহাজের ইঞ্জিন চালু রাখার নির্দেশ

377

বাসস দেশ-৪৩
চট্টগ্রাম বন্দর- জাহাজ
আম্ফানের ক্ষতি কমাতে চট্টগ্রাম বন্দরের সব জাহাজের ইঞ্জিন চালু রাখার নির্দেশ
চট্টগ্রাম, ১৭ মে, ২০২০ (বাসস) : ঘূর্ণিঝড় আম্ফান আঘাত হানলে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বন্দর চ্যানেলে অবস্থানরত অভ্যন্তরীণ জাহাজ ও ছোট ছোট নৌযানগুলোকে কর্ণফুলী নদীর শাহ আমানত সেতুর উজানে এবং বহির্নোঙরে অবস্থানরত জাহাজগুলো ক্রমান্বয়ে কুতুবদিয়া-কক্সবাজার উপকূলে সরে যাবে। এসব জাহাজে সার্বক্ষণিক ইঞ্জিন চালু রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের সতর্ক সংকেতের ভিত্তিতে রোববার ‘সাইক্লোন ডিজেস্টার প্রিপার্ডনেস অ্যান্ড পোস্ট সাইক্লোন রিহ্যাবিলেশন প্লান ১৯৯২ অনুযায়ী অনুষ্ঠিত জরুরি সভা করে বেশ কিছু নির্দেশনা জারি করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বন্দরের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলমের সভাপতিত্বে বন্দর ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় বন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সভায় বন্দর চ্যানেলে অবস্থানরত অভ্যন্তরীণ জাহাজ ও ছোট ছোট নৌযানগুলোকে কর্ণফুলী নদীর শাহ আমানত সেতুর উজানে গিয়ে অবস্থান করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া বহির্নোঙরে অবস্থানরত জাহাজগুলো ক্রমান্বয়ে কুতুবদিয়া-কক্সবাজার উপকূলের দিকে সরে যাবে। এ সব জাহাজে সার্বক্ষণিক ইঞ্জিন চালু রাখার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতর সংকেত বাড়ালে বন্দর কর্তৃপক্ষ অ্যালার্ট-৩ জারি করবে। তখন জেটিতে অবস্থানরত সব জাহাজকে বহির্নোঙরে (সাগরে) সরিয়ে নেওয়া হবে। আপাতত ডাবল রশি দিয়ে জাহাজগুলো জেটিতে শক্ত করে বেঁধে রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জরুরি তথ্য আদান-প্রদানের জন্য বন্দরের নৌ ও পরিবহন বিভাগ দুইটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করেছে।
বাসস/জিই/কেএস/কেসি/২১০৮/স্বব