সোনালী স্বপ্ন বুনে পাট ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে বগুড়ার কৃষকরা

558

বগুড়া, ৩ মে, ২০২০ (বাসস) : একদিকে প্রাণঘাতি করোনা জয়ের চ্যালেঞ্জ, অন্যদিকে দু’চোখে সোনালী স্বপ্ন বুনেই যেনো এখন পাট ক্ষেতে নিরলস ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলার কৃষকরা। কাকডাকা ভোর থেকে তারা নেমে পড়ছেন পাট ক্ষেত পরিচর্যায়। গতবছর প্রতি মন পাট ২০০০ টাকা দরে বিক্রি করে কৃষকরা লাভবান হয়েছেন। তাই এবারো তারা পাটের ভাল দাম পাওয়ার আশায় পাট ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত।
জেলার গাবতলী উপজেলার কৃষক সালাম জানান, গতবছর পাট চাষ করে তিনি লাভবান হয়েছেন। তাই করোনা পরিস্থিতিতেও এবার তিনি দেড় বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। করোনার কারণে তাদর উৎপাদন থেমে নেই।
তিনি জানান, গতবছর ১৮০০ থেকে ২২০০ টাকা মন দরে পাট বিক্রি করেছেন। গতবছর কৃষকরা বিঘাতে ১২ থেকে ১৩ মন পাট পেয়েছেন। সার বীজ, কীটনাশক মিলিয়ে বিঘাতে খরচ পড়ে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। আবহাওয়া ভাল থাকলে বিঘাতে উৎপাদন হয় ১১ থেকে ১২ বেল পাট। অর্থাৎ ১০ থেকে ১২ মন পাট উৎপাদন হয়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল কাসেম আজাদ জানান, কৃষকরা করোনা ভীতি উপেক্ষো করে পাটসহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করছে। এবার কৃষকরা ফাল্গুন মাস থেকে শুরু কওে বৈশাখ মাস পর্যন্ত পাট বীজ বপন করে। তারা এই ফসল তুলবে আষাঢ় মাস থেকে ভাদ্র মাসের মধ্যে।
জেলায় এ বছর ১৩ হাজার ৪১৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এখান থেকে ১ লাখ ৫২ হাজার বেল পাট উৎপাদন হওয়ার আশাবাদ কৃষি বিভাগের।
বগুড়া জেলার পূর্বাঞ্চল সারিয়াকান্দি, সোনাতলা, ধুনট ও গাবতলী উপজেলা পাট চাষের জন্য প্রসিদ্ধ। বগুড়ায় উৎপাদিত জেলার ২২টি জুট মিলের পটের চাহিদা মিটিয়ে পাট চীন ও ভারতে রফতানি হয়ে থাকে বলে জানান বগুড়া ভান্ডার জুট মিলের স্বত্বাধিকারি তোফাজ্জল হোসেন।
তিনি জানান, জেলার ২২ টি জুট মিলে গড়ে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ২ হাজার মন পাটের চাহিদা থাকে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে পাটের বদলে পাটজাত পণ্য রফতানি করলে, বিশেষ করে পাটের বস্তা ও সুতলী বিদেশে রফতানি করলে দেশের পাটকলগুলোও লাভবান হতো, আরো বেশী বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হতো দেশের।