অসহায় মানুষের ত্রাণ আত্মসাৎকারীদের কঠিন শাস্তি পেতে হবে : ওবায়দুল কাদের

648

ঢাকা, ২১ এপ্রিল, ২০২০ (বাসস) : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যারা অসহায় মানুষের ত্রাণ আত্মসাৎ করবে তাদের কঠিন শাস্তি পেতে হবে।
তিনি বলেন, ‘সরকারি ত্রাণ কার্যক্রমে যারা অনিয়ম করছেন তারা সাবধান হয়ে যান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কঠোর অবস্থানে। চাল চোরদের ক্ষমা নেই।’
ওবায়দুল কাদের আজ মঙ্গলবার তার সরকারি বাসভবনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত অনলাইন ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।
করোনা মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া নির্দেশনা সবাইকে মেনে চলার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই দুর্যোগকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসিকতা ও পরীক্ষীত নেতৃত্বে জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। ত্রাণ বিতরণের নামে কোনও ধরনের বৈষম্য মেনে নেয়া হবে না। দল, মত নির্বিশেষে সবাইকে এই কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।’
দ্রুত ত্রাণ কমিটি গঠন করে প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে ত্রাণ বিতরণে সহযোগিতা করতে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ে ত্রাণ কার্যক্রম সমন্বয়ের নির্দেশ দিয়েছেন। দলীয় প্রধানের নির্দেশনা অনুযায়ী তৃণমূল পর্যায়ে ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড ভিত্তিক ত্রাণ কমিটি হবে। ত্রাণ সুবিধা পাওয়ার উপযোগীদের তালিকা দ্রুততার সাথে প্রণয়ণ ও প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে ত্রাণ বিতরন কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
তালিকা প্রণয়ণে কোন প্রকার বৈষম্য করা চলবে না জানিয়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, দলমত নির্বিশেষে যার যা প্রাপ্য ঠিক সে অনুযায়ী তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। যারা ত্রাণ পাওয়ার যোগ্য শুধু তাদের দিয়েই তালিকা প্রস্তুত করবেন।
ত্রাণ বিতরণে বিএনপির বাধা দেয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কোথায় বাঁধা দিয়েছে? তথ্য প্রমাণ দিন। এ অমানবিক কাজ যারা করছে বা যারা করে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য সরকারের প্রয়োজন নেই। বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য সরকার নয় তারা নিজেরাই যথেষ্ট। তাদের নেতিবাচক রাজনীতিই তাদের ধ্বংস করার জন্য যথেষ্ট।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা ভাইরাস জনিত সংকট মোকাবেলায় সংক্রমণ রোধ এবং নিয়ন্ত্রণে প্রতি মুহুর্তে নিরলসভাবে মনিটর করছেন এবং নির্দেশনা দিচ্ছেন। আমাদের সক্ষমতাও পর্যায়ক্রমে বাড়ছে।
তিনি বলেন, করোনা টেস্টের জন্য নির্ধারিত কেন্দ্র সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। টেস্টিং ক্যাপাসিটি প্রতিদিনই বাড়ছে যদিও এসমস্যা আজকে সারা দুনিয়াব্যাপী। সারাবিশ্বেই টেস্টিং ক্যাপাসিটি ও পিপিই সংকট রয়েছে। তারপরও বাংলাদেশ সীমাবদ্ধতার মধ্যে প্রতিদিনই টেস্টিং ক্যাপাসিটি বাড়াচ্ছে। আমাদের ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কাররা যেমন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা নিরলসভাবে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‌্যাব সর্বক্ষণ শেখ হাসিনার নির্দেশে কাজ করে যাচ্ছেন।