করোনায় ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত ২০৯, মারা গেছেন ৭ জন

776

ঢাকা, ১৪ এপ্রিল, ২০২০ (বাসস) : করোনাভাইরাসে দেশে ২৪ ঘন্টায় আরও ২০৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০১২।
এছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় আরও ৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। এ নিয়ে দেশে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৬ জনে। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৪২ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস সম্পর্কে নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।
ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১ হাজার ৮০৪টি। তবে আগের নমুনাসহ মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ১ হাজার ৯০৫টি। এখন পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৩ হাজার ১২৮ জনের।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হোম কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়েছে ৫ হাজার ৮৩ জন। মোট কোয়ারেন্টিনে আছেন ৯০ হাজার ৫৮১ জন। ২৪ ঘণ্টায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়েছে ৪২৯ জনকে। মোট প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ২ হাজার ৬১৮ জন।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিন থেকে মুক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৩৯ জন। সব মিলিয়ে মোট ৬৪ হাজার ৩১৫ জন কোয়ারেন্টিন থেকে মুক্ত হয়েছেন।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৯ জনকে আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে। বর্তমানে সব মিলিয়ে আইসোলেশনে আছেন ৩৮৩ জন। এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ জন আইসোলেশন থেকে ছাড়া পেয়েছেন। মোট আইসোলেশন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৪ হাজার ৪২ জন।
অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, সারাদেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ৪৮৮ টি প্রতিষ্ঠানকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে কোয়ারেন্টিন সেবা দেয়া যাবে ২৬ হাজার ৩৫২ জনকে।
বুলেটিন উপস্থাপনকালে করোনার বিস্তাররোধে সবাইকে বাড়িতে থাকার এবং স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শ মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়।
তিনি জানান,করোনা চিকিৎসায় সারাদেশে হাসপাতালগুলোতে আইসোলেশন বেড রয়েছে ৭ হাজার ৬৯৩টি, এরমধ্যে ঢাকায় আছে ১ হাজার ৫৫৯টি, আইসিইউ বেড রয়েছে সারাদেশে ১১২টি এবং ডায়ালাইসিস বেড আছে ৪০টি।
তিনি জানান, এখন দেশের ১৭টি ল্যাবরেটরিতে করোনা পরীক্ষা হলেও শিগগিরই দেশের আরও প্রায় ১১টি প্রতিষ্ঠানে এই পরীক্ষা করার প্রস্তুতি চলছে। আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে এসব ল্যাবরেটরিতে করোনা পরীক্ষা করা যাবে। এরমধ্যে ঢাকার বাইরের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ, এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ, দিনাজপুর ও শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ, বগুড়া এই ৬টি এবং ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ, মুগদা মেডিকেল কলেজ, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার কাজ চলছে।